চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের আনন্দ মিছিলে পুলিশের গুলি, আহ্বায়কসহ আটক ১০

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন কমিটি হওয়ায় আনন্দ মিছিল বের করে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। সেই আনন্দ মিছিল শুরুর পরপরই যানযটের কথা বলে বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে তা রুপ নেয় সংঘর্ষে।

নেতাকর্মীরা পুলিশকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে, পরবর্তীতে ১০ রাউন্ড ফাঁকাগুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড মেরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এই ঘটনায় দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মঞ্জুর আলম তালুকদারসহ সংগঠনের ১০ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।

এ সময় ককটেল ও ইটের আঘাতে চার পুলিশ সদস্য আহত হওয়ারও কথা জানায় পুলিশ।

বুধবার (২৭ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউরির বিএনপির দলীয় কার্যালয় নসিমন ভবনের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

মঞ্জি ছাড়া বাকি ৯ নেতাকর্মীরা হলেন আনোয়ারা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য মো. নঈমউদ্দীন চৌধুরী (৪৮), ইকবাল হায়দার চৌধুরী (৪০), বাঁশখালী উপজেলার আব্দুল আলীম (৩৬), মো.বেলাল উদ্দিন বাদশা (২২), মো.ওমর ফারুক (২২), পটিয়া উপজেলার মো. আজিজ (৩৪), মুরাদুল আলম (৪০), আরমান (২৪) ও মো. তোফায়েল আহম্মেদ (২২)।

তবে পুলিশ জানায়, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাদের আনন্দে বাঁধা দেয়নি তারা। অনুমতি ছাড়াই মিছিল বের করে সড়কে যানযটের তৈরি করে নেতারা। এতে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা নেতাদের রাস্তা থেকে সরে যেতে অনুরোধ করলে পুলিশের ওপর হামলা চালায়।

পুলিশের বক্তব্য মিথ্যা দাবি করে সংগঠনের সাবেক সহ-সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম জানান, সুশৃঙ্খলভাবে মিছিল বের করলে বরাবরের মতোই পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় আমাদের ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেড ও গুলি ছোঁড়ে। এতে আমাদের সংগঠনের নবগঠিত কমিটির সদস্যসচিব জমির উদ্দিন মানিক গুরুতর আহত হন, এবং আহ্বায়ক মঞ্জুভাইসহ একাধিক নেতাকে আটক করে পুলিশ।

তিনি আরও বলেন, পুলিশের এই হামলার ঘটনায় আরও ২০-২৫ নেতাকর্মী আহত হয়ে নগরীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

তবে হামলা নয়, জনগণের যানমাল রক্ষায় উশৃঙ্খল নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতেই অ্যাকশনে গিয়েছে পুলিশ—এমনটাই জানান কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির।

এ বিষয়ে ওসি বলেন, ‘সড়ক দখল করে আনন্দ মিছিল করায় যানজটের সৃষ্টি হয় কাজীর দেউরি এলাকায়। তখন পুলিশ মিছিলকারীদের সড়ক থেকে সরে যেতে অনুরোধ করে। এ সময় মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়া হয়। এতে কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান, সাদ্দাম হোসেন ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. জালালসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন।’

হামলার ঘটনায় ১০জনকে আটক করা হয়েছে। আটকদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওসি।

বিএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!