চট্টগ্রামে সোমবার থেকে মডার্না মিলবে শুধু দ্বিতীয় ডোজে, বাকিরা পাবে সিনোফার্মই

সাড়ে ৩ লাখ টিকা এলেও গণটিকা আপাতত নয়

চট্টগ্রামে এসেছে সিনোফার্ম ও মডার্নার তৈরি প্রায় ৩ লাখ ৩৫ হাজার টিকা। শনিবার (১৪ আগস্ট) মধ্যরাতে চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। এর ফলে সোমবার (১৬ আগস্ট) থেকে চট্টগ্রামে করোনার ভ্যাকসিন দেয়ার বিষয়ে যে শঙ্কা ছিল, তার অবসান ঘটলো।

শনিবার (১৪ আগস্ট) রাতে আসা টিকার মধ্যে সিনোফার্মের টিকা রয়েছে ১ লাখ ৯৯ হাজার ২০০ ডোজ এবং মডার্নার টিকা এসেছে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৮০ ডোজ।

এক্ষেত্রে টিকার মজুদ ফুরিয়ে যাওয়ায় থেমে যাওয়া টিকাদান কর্মসূচি খুব শীঘ্রই আবার চালু হওয়ার ক্ষেত্রে আর কোন সংশয় রইল না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সোমবার (১৬ আগস্ট) থেকেই টিকা দেওয়া শুরু হতে পারে। তবে এই বিষয়ে এখনও নিশ্চিত কোনো ঘোষণা আসেনি।

টিকাদান কর্মসূচির সাথে সম্পৃক্ত নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘১৬ আগস্ট থেকে আশা করি আবারও প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের নিয়মিত টিকা দেওয়া আরম্ভ করতে পারবো। ১৫ আগস্ট দুপুরে বিভাগীয় পরিচালকের সাথে আমাদের (ভ্যাকসিন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা) মিটিং। এরপর পরিকল্পনা কনফার্ম হবে।’

চট্টগ্রামে সোমবার থেকে মডার্না মিলবে শুধু দ্বিতীয় ডোজে, বাকিরা পাবে সিনোফার্মই 1

এর মধ্যে মডার্নার টিকাগুলো শুধুই দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন। অন্যদিকে টিকার জন্য নিবন্ধন করে অপেক্ষমাণ থাকা ব্যক্তিরা এবারে প্রথম ডোজ হিসেবে পাবেন শুধু সিনোফার্মের টিকা।

তবে বিদেশগামীদের ক্ষেত্রে এই নিয়মের বাইরে প্রথম ডোজ হিসেবে মডার্না দেওয়ার বিষয়েও সিদ্ধান্ত রয়েছে জানিয়ে সিভিল সার্জন বলেন, ‘প্রথম ডোজ হিসেবে মডার্নার টিকা আর দেওয়া হবে না। তবে বিদেশগামীদের মডার্না দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে তাদের ভিসা, পাসপোর্ট বা টিকেট দেখিয়ে সেটি নিশ্চিত করতে হবে।’

তবে আপাতত সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড ও উপজেলার ইউনিয়ন, পৌরসভাগুলোতে গণটিকা কার্যক্রম নতুন করে শুরু হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও এ সময় জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।

এর আগে ৭ আগস্ট থেকে দেশব্যাপী সকল ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ৬ দিন ব্যাপী গণটিকা দেওয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে টিকা সংকটে শেষ মুহূর্তে শুধুমাত্র ৭ আগস্ট গণটিকা দিয়েই শেষ করা হয় কর্মসূচি। পরে ১৪ আগস্ট থেকে আবারও এটি পালন করার ঘোষণাও দেওয়া হয়।

এর মধ্যে টিকার মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ১২ আগস্ট থেকে চসিক ও জেলার নিয়মিত টিকাদান কেন্দ্রগুলোতেই বন্ধ হয়ে পড়ে নিয়মিত টিকাদান কার্যক্রম। তবে নতুন করে এসব টিকা আসায় টিকা পাওয়া নিয়ে মানুষের মধ্যে যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল, তার কিছুটা অবসান হবে— এমনটাই মনে করছেন সচেতন নাগরিকরা।

এআরটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!