চট্টগ্রামে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠা শাহ পরানের পাল্টা মামলায় নারী উকিল কারাগারে
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠার পর সহকারী জজ হিসেবে নিয়োগ স্থগিত হওয়া শাহ পরানের দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় অভিযোগকারী আইনজীবী মনজিলা সুলতানাসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরী এই আদেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া অপর দুজন হলেন—আইনজীবী মনজিলার দুই সহযোগী কাজী তাহমিনা সুলতানা বাবলী এবং তানজিলা সুলতানা। তবে মামলার অপর আসামি মনজিলার স্বামী বিজয় শাকিলের জামিন মঞ্জুর করা হয়।
ফেসবুকে ‘আক্রমণাত্মক ও মিথ্যা তথ্য’ প্রচারের অভিযোগে রাজধানীর কোতোয়ালী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এই মামলা করেন শাহ পরান।
শুনানিতে আইনজীবী মনজিলা সুলতানাসহ অন্যদের আইনজীবীরা বলেন, মামলার বাদী শাহ পরানের বিরুদ্ধে মনজিলা সুলতানা চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানায় শ্লীলতাহানির অভিযোগে ইতিপূর্বে মামলা করেছেন। এই মামলার পাল্টা মামলা হিসাবে শাহ পরান ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ঢাকায় এই মিথ্যা মামলা করেছেন।
অন্যদিকে শাহ পরানের আইনজীবীরা বলেন, চট্টগ্রামের মামলাটি অসত্য ও বাস্তবতা বিবর্জিত ঘটনায় সাজানো হয়েছে। শাহ পরান আইনজীবী মনজিলা সুলতানার শ্লীলতাহানি করেননি।
২০২০ সালের ৩ ডিসেম্বর কক্সবাজার থেকে ঢাকায় ফেরার পথে লোহাগাড়ার হোটেল মিডওয়ে ইনে বাসের ভেতরে নারী আইনজীবী আইনজীবী মনজিলা সুলতানাকে শ্লীলতাহানি ও যৌন হেনস্তার অভিযোগে পুলিশের হাতে আটক হন শাহ পরান। এর আগে তাকে সহকারী জজ হিসেবে নিয়োগদানের গেজেটও প্রকাশিত হয়। পরে ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারায় মামলা নেয় পুলিশ। এ ঘটনার পর জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সহকারী পরিচালক পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় শাহ পরানকে। সহকারী জজ হিসেবে নিয়োগও স্থগিত করা হয়। বর্তমানে শ্লীলতাহানির মামলাটি চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন।
সিপি