চট্টগ্রামে শৃঙ্খলা বাহিনীতে প্রথম করোনা, সরকারি স্থাপনাও প্রথম লকডাউন

চট্টগ্রামে দায়িত্বরত প্রশাসনের সদস্যদের মধ্যে এই প্রথম কারও করোনা শনাক্ত হলো। এই ঘটনায় পুলিশের ব্যারাক লকডাউনের মাধ্যমে প্রথম কোন সরকারি স্থাপনা লকডাউন করা হলো।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের এক সদস্যের শরীর করোনা শনাক্তের পর পুলিশ হাসপাতালের ৩ জন চিকিৎসক, ৩ জন নার্স, ৭ জন মেডিকেল সহকারী ও ১২ জন রুমমেটকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। লকডাউন করা হয়েছে নগর ট্রাফিক পুলিশের উত্তর বিভাগের ব্যারাক— যেখানে বসবাস করতেন ২০০ পুলিশ সদস্য।

রোববার (১২ এপ্রিল) করোনা শনাক্ত হওয়া ওই পুলিশ সদস্য এক সপ্তাহ আগ থেকেই দামপাড়াস্থ চট্টগ্রাম বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তাকে রোববার রাতেই চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) আবু বকর সিদ্দিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, বিভাগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ট্রাফিক উত্তর বিভাগের এক সদস্যের শরীরে করোনাভাইরাসে উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। এর পরপরই কমিশনার স্যারের নির্দেশে ওই ট্রাফিক বিভাগের ওই ব্যারাক লকডাউন করা হয়েছে। তার সংস্পর্শে আসা পুলিশ সদস্য ও চিকিৎসকদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। করোনা আক্রান্ত ওই সদস্যকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আক্রান্ত পুলিশ সদস্যের হিস্ট্রিতে সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশ গমন কিংবা বিদেশ ফেরত কারও স্পর্শ নেই। এই ঘটনায় সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান নগরীতে দায়িত্বরত সিএমপির সকল সদস্যকে আরো সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

এফএম/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!