চট্টগ্রামে শিশুদের নতুন দুশমন নিউমোনিয়া, ভয় ব্রঙ্কিওলাইটিসে

তিনগুণ রোগীতে ঠাসা চট্টগ্রাম মেডিকেলের শিশু ওয়ার্ড

প্রথমে জ্বর, সঙ্গে সর্দি। তারপর শুরু হচ্ছে শ্বাসকষ্ট। এমন অবস্থায় খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দেয় শিশুরা। ঠিক তখনই তার শরীরে হানা দেয় নিউমোনিয়া। চট্টগ্রামে এভাবে ভাইরাল জ্বর থেকে শিশুরা শুধু নিউমোনিয়াতেই নয়, আক্রান্ত হচ্ছে ব্রংকিওলাইটিসেও। হঠাৎ করে চট্টগ্রামজুড়ে শিশুদের মধ্যে এ ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার বেড়ে গেছে বহুগুণ।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের প্যাডিয়াট্রিক ও নিওনেটোলজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. জগদীশ চন্দ্র দাশ জানান, চমেক হাসপাতালের শিশু বিভাগ ও নবজাতক ওয়ার্ড মিলে রোববার (৩ অক্টোবর) পর্যন্ত শিশুরোগী ভর্তি আছে ৫১০ জন। এর মধ্যে ১৩৯ জন ভর্তি আছে নিউনেটাল বা নবজাতক ওয়ার্ডে। এই হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে সিট রয়েছে ১০২টি। অথচ এর বিপরীতে প্রায় তিনগুণ শিশুরোগী ভর্তি রয়েছে বর্তমানে।

অন্যদিকে অন্যদিকে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক (শিশু আইসিইউ) ডা. ফাহিম হাসান রেজা চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান, প্রতিদিন শিশু হাসপাতালে যেসব শিশু রোগী আসছে, তার ১০০ জনের মধ্যে ৭০-৮০ জনই নিউমোনিয়ার রোগী। এখানে প্রতিদিন আইসিইউ মিলে প্রায় শতিনেক শিশু রোগী ভর্তি থাকছে।

এছাড়া চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের শিশু বহির্বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান, হাসপাতালের বহির্বিভাগে ১৬৬ হন শিশু রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। জ্বরের পাশাপাশি ডায়রিয়া, ব্রংকিওলাইটিস ও নিউমোনিয়ার শিশুরোগীও আসছে। রোববার পর্যন্ত এর মধ্য থেকে ৭ শিশুকে ইনডোরে ভর্তি করা হয়েছে।

চট্টগ্রামের বেশ কয়েকজন চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিউমোনিয়ার উপসর্গ শুরুতে না থাকায় অনেক অভিভাবকই দেরিতে বুঝতে পারছেন, তাদের শিশুরা নিউমোনিয়ার কবলে পড়ে গেছে। অন্যদিকে নিউমোনিয়াই শুধু নয়, শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে ব্রংকিওলাইটিসে।

ব্রংকিওলাইটিস নিউমোনিয়া নয়

ব্রংকিওলাইটিস মূলত ভাইরাসজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগ। শীতকালে কিংবা এর আগেও ঋতু পরিবর্তনের সময় এই রোগ বেশি হয়। এই রোগে শিশুরা শ্বাসকষ্ট ও সর্দি-কাশির মতো সমস্যায় বেশি ভোগে। অনেকেই একে নিউমোনিয়া ভেবে শিশুকে অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে থাকে। চিকিৎসকরা বলছেন, এতে অ্যান্টিবায়োটিকের কোনো প্রয়োজনই নেই।

চিকিৎসকরা জানান, দুই বছরের বেশি বয়সী শিশুর ব্রংকিওলাইটিস হয় না। এই বয়সী শিশু হাত-পা ছড়িয়ে খেলা করলে ধরে নিতে হবে, সে স্বাভাবিক ও সুস্থ অবস্থায় আছে।

চট্টগ্রাম প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপে চট্টগ্রামের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ফুসফুসের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বায়ুনালী ভাইরাসের মাধ্যমে সংক্রমিত হলে শিশুর ব্রংকিওলাইটিস হয়। সাধারণত রেস্পিরেটরি সিনসাইটিয়াল ভাইরাস, রাইনো ভাইরাস, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণে এই রোগ হয়। এতে বায়ুনালীতে প্রদাহ সৃষ্টি হয়ে ফুলে যায় এবং মিউকাস নামক পদার্থ দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে শিশুর স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যার সৃষ্টি করে। আনুপাতিকভাবে শিশুদের নিউমোনিয়ার (১১ শতাংশ) চেয়ে ব্রংকিওলাইটিসই (২১ শতাংশ) বেশি হয় বলে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন।

শিশুরা যেভাবে ব্রংকিওলাইটিসে আক্রান্ত হচ্ছে

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের শিশু বহির্বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম বলেন, অপুষ্টির কারণে, ঘরে পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক আলো-বাতাসের অভাবে, শিশুর আশপাশে ধূমপান করলে কিংবা রান্নার সময় শিশু যে ঘরে থাকে, সেখানে রান্নার ধোঁয়া পৌঁছলে শিশুর ব্রংকিওলাইটিস হতে পারে। এ জন্য শিশুকে রান্নাঘর থেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখা উচিত। আর ধূমপায়ী অভিভাবক যেন কোনোভাবেই শিশুর সামনে ধূমপান না করে, সেদিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে।

ব্রংকিওলাইটিসের লক্ষণ ও উপসর্গের কথা বলতে গিয়ে ডা. সাইফুল বলেন, দুই বছরের কম বয়সী শিশু, বিশেষ করে শিশুর বয়স এক বছর পর্যন্ত ব্রংকিওলাইটিস হতে পারে। কিন্তু দুই বছরের বেশি হলে এ সমস্যা হয় না। দুই বছর পর্যন্ত যেসব শিশু বারবার ঠাণ্ডাজনিত সমস্যায় ভোগে, ধরে নেওয়া হয় তাদের ব্রংকিওলাইটিস সমস্যা রয়েছে। ব্রংকিওলাইটিস হলে শিশু ঠাণ্ডা-কাশি আর অল্প শ্বাসকষ্টে ভুগলেও সেই অর্থে অসুস্থ মনে হয় না।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে শিশুর হাসি এবং কাশি ও বুকে বাঁশির মতো শব্দ আছে কিনা তা দেখে বুঝতে হবে, শিশুর নিউমোনিয়া নাকি ব্রংকিওলাইটিস হয়েছে। এতে আক্রান্ত শিশুর সাধারণত তেমন জ্বর থাকে না, হলেও কম তাপমাত্রা থাকে। অন্যদিকে শিশু যদি না হাসে, দেখেই কিছুটা অসুস্থ মনে হয় এবং তীব্র শ্বাসকষ্ট দেখা যায়, তবে ধরে নেওয়া যেতে পারে সে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। নিউমোনিয়া বারবার হয় না, তবে পুষ্টিহীন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নেই বা কম— এমন শিশুর ঘন ঘন নিউমোনিয়া হতে পারে। আর যেকোনো শিশুর এমনকি পূর্ণবয়স্ক শিশুরও নিউমোনিয়া হতে পারে।

চিকিৎসকদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, শিশুর ব্রংকিওলাইটিসের জন্য প্রকৃতপক্ষে আলাদা করে তেমন কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। আক্রান্ত হওয়ার পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যেই শিশু সুস্থ হয়ে যায়। তবে শিশুকে দেখে অসুস্থ কিংবা শিশুর শরীর কালচে মনে হলে দেরি না করে হাসপাতালে নেওয়া উচিত। এই রোগে আক্রান্ত শিশুকে সময়মতো অক্সিজেন ও নেবুলাইজেশন ইত্যাদি প্রয়োগ করলেই শিশুটি সুস্থ হয়ে যায়। যেহেতু দুই বছরের কম বয়সী শিশুর ব্রংকিওলাইটিস হয়, তাই এই রোগে আক্রান্ত হলে লক্ষ রাখতে হবে, কোনোভাবেই যেন শিশুকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ না করা হয়। শিশুর বয়স ছয় মাসের বেশি হলে মায়ের বুকের দুধের পাশাপাশি অন্যান্য পুষ্টিকর খাবারও খাওয়াতে হবে।

এছাড়া শিশুকে পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। উষ্ণ আবহাওয়ায় স্বাভাবিক আলো-বাতাস চলাচল করে এমন ঘরে রাখতে হবে। শিশুর ঘন ঘন ঠাণ্ডা লাগলে বা সর্দি-কাশি হলে গুরুত্ব সহকারে যত্ন ও চিকিৎসা দিতে হবে। গরমে ঘামছে কি না, শীতে কাঁপছে কি না—এসব দিকে ভালোভাবে খেয়াল রাখতে হবে। শিশু হাত-পা ছড়িয়ে খেলা করলে ধরে নিতে হবে, সে স্বাভাবিক ও সুস্থ অবস্থায় আছে। যেসব শিশু বারবার ব্রংকিওলাইটিসে আক্রান্ত হয়, তাদের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হবে। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ বা অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া যাবে না। এতে উপকারের বদলে ক্ষতির আশঙ্কা থাকে বেশি।

শিশুর নিউমোনিয়া নিয়ে যা বলছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা

অন্যদিকে নিউমোনিয়া নিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, ফুসফুসে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে নিউমোনিয়া হয়। এই রোগ ফুসফুসের একদিকে বা উভয় অংশকে আক্রান্ত করতে পারে। নিউমোনিয়ার জীবাণু শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে শ্বাসনালীর মাধ্যমে ফুসফুসে প্রবেশ করে এবং বায়ুথলিতে এসে বাসা বাঁধে। ফলে বায়ুথলিগুলোতে শ্লেষ্মা, পুঁজ ও অন্যান্য তরলের সৃষ্টি ও জমা হয়। তখন শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া কষ্টকর হয়।

নিউমোনিয়ার সাধারণ উপসর্গ হলো কাশি। তবে অনেক ক্ষেত্রে গাঢ় শ্লেষ্মাযুক্ত কফ থাকতে পারে। কফ সবুজ, বাদামি বা রক্তের ছিঁটেযুক্তও হতে পারে। নিউমোনিয়া বিভিন্ন জীবাণু সংক্রমণ যেমন—ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ইত্যাদির কারণে হতে পারে।

শিশুদের নিউমোনিয়ার কারণগুলো বয়স অনুসারে ভিন্ন ভিন্ন হয়। অর্থাৎ শ্বাসতন্ত্রের সিনসিটিয়াল ভাইরাসজনিত নিউমোনিয়া, নিউমোকক্কাস, স্টেপটোকক্কাস নিউমোনিয়া এবং হেমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা পাঁচ বছরের কম বয়সের শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়া প্রায়ই ৫ থেকে ১৩ বছর বয়সের শিশুদের মধ্যে দেখা যায়। বেশিরভাগ ভাইরাল নিউমোনিয়া অ্যাডিনোভাইরাস, রাইনোভাইরাস, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, শ্বাসযন্ত্রের সিনসিটিয়াল ভাইরাস ও প্যারাইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের কারণে হয়। সাধারণত ব্যাকটেরিয়াজনিত নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুরা দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং যারা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয় তাদের লক্ষণগুলো দেখা দেয় এবং কম মারাত্মক হয়। শিশুদের মধ্যে লক্ষণগুলো অনেক ক্ষেত্রেই সুনির্দিষ্ট না-ও হতে পারে। শিশুদের মধ্যে সংক্রমণের কয়েকটি সাধারণ লক্ষণ হলো— জ্বর, দুর্বল ভাব, দ্রুতগতির ঘন ঘন ভারী শ্বাস-প্রশ্বাস, শ্বাসের সঙ্গে শোঁ শোঁ শব্দ, খাওয়ানোতে অসুবিধা হওয়া, ক্লান্তি বা ঝিমুনি ভাব।

কী করতে হবে, কী খেয়াল রাখতে হবে

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ও নিওনেটোলজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. জগদীশ চন্দ্র দাশ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, নিউমোনিয়ার ঝুঁকি কমাতে হলে শিশুকে বারবার বুকের দুধ পান করাতে হবে। শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে মায়ের বুকের দুধ। বাচ্চাকে খোলামেলা রাখতে হবে। কোনোভাবেই বুকের মধ্যে ঘাম বসানো যাবে না। সোজা কথায় বাচ্চাকে ঘামতে দেওয়া যাবে না। ঘরের পরিবেশ শুষ্ক, উষ্ণ গরম এবং ভালো বায়ু চলাচল যাতে থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সর্দি, ফ্লু বা অন্যান্য সংক্রমণ রয়েছে— এমন ব্যক্তির মাঝ থেকে শিশুকে আলাদা রাখতে হবে। আর বাচ্চাকে সময়মতো টিকা দিতে হবে।
ডা. জগদীশ চন্দ্র দাশ আরও বলেন, যদি ব্যাকটেরিয়াজনিত নিউমোনিয়া হয়, তখন অ্যান্টিবায়োটিকের দরকার হয়। ওষুধগুলো সময়মতো প্রয়োগ করতে হবে— যা শিশুকে দ্রুত সুস্থ হতে এবং সংক্রমণ ছড়ানো রোধ করতে সহায়তা করবে। প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় কমপক্ষে একবার তাপমাত্রা দেখতে হবে। তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের (৩৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড) বেশি হলে জ্বর কমানোর জন্য প্যারাসিটামলজাতীয় ওষুধ খাওয়াতে হবে।

তিনি বলেন, শিশুর বয়স যদি তিন মাসের কম হয়, যদি একেবারে খাওয়া ছেড়ে দেয় কিংবা শ্বাস নেওয়ার গতি দুই মাসের কম বয়সী শিশুর মিনিটে ৬০ বার, দুই মাস থেকে এক বছরের পর্যন্ত শিশুর প্রতি মিনিটে ৫০ বারের বেশি এবং এক থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুর মিনিটে ৪০ বারের বেশি হলে, শ্বাস নেওয়ার সময় বুকের পাঁজর দেবে গেলে কিংবা শিশুর ঠোঁট ও জিহ্বা নীল হয়ে গেলে, তখন শিশুকে অবশ্যই জরুরিভাবে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। কারণ এ সবই নিউমোনিয়া বা মারাত্মক রোগের লক্ষণ।

সময় নষ্ট না করে এসব লক্ষণ দেখামাত্রই শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন তিনি। আবার ডায়রিয়ার ক্ষেত্রেও একইভাবে শিশুর যখন ঠোট ও জিহ্বা শুকিয়ে যাবে, মাথার তালু ঢেবে যাবে— তখন সাথে সাথে শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে, জানান ডা. জগদীশ চন্দ্র দাশ।

শিশুরোগীদের অবস্থার বিবরণ দিতে গিয়ে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক (শিশু আইসিইউ) ডা. ফাহিম হাসান রেজা বলেন, প্রথমে শিশুদের জ্বর ও সর্দি থাকছে। তারপর চোখ থেকে অনবরত পানি পড়ছে। চোখে ময়লা জমছে। একপর্যায়ে শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। বাচ্চা যখন বুকের দুধ খাওয়া ছেড়ে দেবে, তখনই বুঝতে হবে বাচ্চা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। দেরি না করে তখনই বাচ্চাকে হাসপাতালে কিংবা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। গুরুতর ক্ষেত্রে আইসিইউতে চিকিৎসার দরকার হতে পারে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!