চট্টগ্রামে শিশুদের দিয়ে দেহ ব্যবসার নেপথ্যে হিজড়ার চক্র

নিজে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ। নাম শ্রাবন্তী হিজড়া। থাকেন বন্দর থানার ইসহাক ডিপো এলাকায়। নগরীর বিভিন্ন ছিন্নমূল দম্পতীর বাচ্চাদের ভরনপোষণের কথা বলে নিয়ে যায় নিজের ডেরায়। কিন্তু সেখানে নিয়ে বাধ্য করা হয় দেহ ব্যবসায়।

১৫ বছরের নিচে শিশুদের দিয়ে জোরপূর্বক দেহব্যবসা করানোর অভিযোগে এবার গ্রেপ্তার হলেন শ্রাবন্তী। এই সময় শ্রাবন্তীর ডেরা থেকে উদ্ধার করা হয় ১৩ ও ১৪ বছরের চার শিশুকে। এ অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয় শ্রাবন্তীর চার সহযোগীকেও। এ সময় পালিয়ে যায় শ্রাবন্তীর আরও এক সহযোগী।

সোমবার (২৯ মে) দিবাগত রাত ১ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বন্দর থানার ইসহাক ডিপো এলাকার টোল প্লাজার পাশের একটি ঘর থেকে শিশুদের উদ্ধারসহ শ্রাবন্তী হিজড়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আটক পাঁচ আসামি হলেন কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানার ভাগুরাপাড়ার কোরবান আলীর সন্তান শ্রাবন্তী হিজরা (৩৪)। নগরীর হালিশহর থানার ছোটপুল এলাকার মৃত মকবুল হোসেনর ছেলে মো. আমির হোসেন(৩৫)। একই থানা এলাকার ব্রিকফিল্ড আকবরের কলোনির ইয়াসিন ব্যাপারির মেয়ে মিতু আক্তার কাজল (১৯)। বন্দর থানার মাইজপাড়া এলাকার ইঞ্জিনিয়ারের বাসার ভাড়াটিয়া সিধু মাঝির ছেলে মো. জামাল (৫২) ও একই থানার ধোপারদীঘির পাড় এলাকার বাদশার কলোনির মৃত বশির আহম্মদের ছেলে মো. আব্দুল জলিল (৫৫)।

অভিযানে পলাতক ব্যক্তি হলেন মো. নাঈম (২৫)। তিনি কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানার ভাগুরাপাড়ার মো. জামালের ছেলে।

অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক জিল্লুর রহমান বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা টোল প্লাজের পাশে একটি টিনের ঘরে অভিযান চালাই। এই সময় আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা পালানোর চেষ্টা করলে পাঁচজনকে আটক করা গেলেও বাকি একজন পালিয়ে যায়। এই সময় টিনের ঘর থেকে ১৩ বছরের একজন ও ১৪ বছরের তিনজন শিশুকে উদ্ধার করা হয়। তারা আমাদের জানায়, শ্রাবন্তী হিজরা তাদের ভরনপোষণের দায়িত্ব নেবে বলে এখানে এনে জোর করে দেহ ব্যবসা করাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘শিশুরা শ্রাবন্তীর কথায় রাজি না হলে তাদের শারীরিক নির্যাতনও করে।’

এই ব্যাপারে আসামিদের নাম উল্লেখ করে মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে বন্দর থানায় মামলা রুজু হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

বিএস/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!