চট্টগ্রামে শনাক্ত ১৫ হাজার ছুঁই ছুঁই, ৩ হাজার পেরোল সুস্থতা

মৃত্যুহীন দিনে আরও ১১৭ শনাক্ত

চারদিন পর করোনায় আরেকটি মৃত্যুহীন দিন দেখল চট্টগ্রাম। তবে থেমে নেই করোনায় শনাক্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় নগরের ৯০ জন ও উপজেলার ২৭ জন নিয়ে নতুনভাবে শনাক্ত হয়েছেন ১১৭ জন। তাতে করে চট্টগ্রামের করোনা রোগীর সংখ্যা এখন ১৫ হাজার ছুঁই ছুঁই—১৪ হাজার ৯৯১ জন। যাদের মধ্যে ১০ হাজার ৫৩৮ জন নগরের এবং চার হাজার ৪৫৩ জন উপজেলার বাসিন্দা।

একইসাথে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৫ জন করোনাজয়ের মধ্য দিয়ে তিনহাজার অতিক্রম করলো সুস্থতার সংখ্যা। তিনহাজার ৬১ জন সুস্থ হলেও করোনার কাছে হেরে গেছেন ২৪০ জন। যাদের ১৬৭ জন নগরের ও ৭৩ জন বিভিন্ন উপজেলার।

শনিবার (৮ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, চট্টগ্রামের সরকারি তিনটি ও বেসরকারি দুটি ল্যাব এবং কক্সবাজারের একটি ল্যাব মিলে ৯০৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১১৭ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তদের মধ্যে নগরের ৯০ জন এবং উপজেলার ২৭ জন। একইসাথে গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনা থেকে ১০৫ জন সুস্থ হয়েছেন এবং কেউ মারা যাননি।

গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের প্রধান করোনা পরীক্ষাগার ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি)-তে বিদেশগামীদের বাধ্যতামূলক করানো করোনা টেস্টসহ ১৮০ জনের নমুনা পরীক্ষা করোনা করা হয়। তাতে করোনা শনাক্ত হয় মাত্র ৩ জন। এর মধ্যে ২ জন নগরের বাসিন্দা ও ১ জন উপজেলার।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটি (সিভাসু) ল্যাবে ১৩৫টি নমুনা পরীক্ষা করে করোনা পজিটিভ হন ৯ জন। এর মধ্যে ১৩৮ জন নগরের ও ১ জন বিভিন্ন উপজেলার।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় দিনের সর্বাধিক ১৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে সর্বোচ্চ ২৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের জীবাণু পাওয়া যায়। যাদের মধ্যে নগরের ২২ জন, বাকি ৫ জন উপজেলার বাসিন্দা।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৫২ জনের করোনার পরীক্ষা হয়। তাতে ২৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়। যাদের ১২ জন নগরের এবং ১৪ জন বিভিন্ন উপজেলার।

বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৫ জনের দেহে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। যাদের সবাই নগরের।

চট্টগ্রামের আরেকটি বেসরকারি পরীক্ষাগার শেভরণ ল্যাবে ১৭৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৫ জনের দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। এদের মধ্যে ২১ জনই নগরের এবং বাকি ৪ জন উপজেলার বাসিন্দা।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে উপজেলার ২ জন রোগী পাওয়া যায়।

উপজেলা পর্যায়ে নতুনভাবে করোনা শনাক্ত ২৭ জনের মধ্যে আবারও শীর্ষস্থানে চলে আসে রাউজান উপজেলা। সেখানে ৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এছাড়া হাটহাজারীতে ৭ জন, পটিয়া ও সীতাকুণ্ডে ৩ জন করে, বাঁশখালী ও বোয়ালখালীতে ২ জন করে এবং ফটিকছড়িতে ১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!