চট্টগ্রামে শনাক্ত বেড়ে ১২৮, নগরেই একশর ওপরে

পর পর তিন দিন চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তের সংখ্যা ক্রমবর্ধমানই থাকলো। ৫ আগস্ট ১১৯ জনের পর ৬ আগস্ট শনাক্ত হয়েছিল ১২১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সেটি বেড়ে এখন ১২৮। এর মধ্যে নগরেই ১০৩ জন, বাকি ২৫ জন চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার। এ নিয়ে চট্টগ্রামে করোনা শনাক্ত গিয়ে দাঁড়ালো ১৪ হাজার ৮৭৪ জনে, যাদের মধ্যে ১০ হাজার ৪৪৮ জন নগরের এবং চার হাজার ৪২৬ জন উপজেলার বাসিন্দা।

একইসাথে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৮ জন করোনাজয় করলেও করোনার কাছে হেরে যান নগরের দুজন। ফলে চট্টগ্রামে মোট সুস্থতার সংখ্যা দুই হাজার ৫৩ জনের পাশাপাশি মৃত্যুও বেড়ে দাঁড়ায় ২৪০ জনে। যাদের ১৬৭ জন নগরের ও ৭৩ জন বিভিন্ন উপজেলার।

শুক্রবার (৭ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, চট্টগ্রামের সরকারি তিনটি ও বেসরকারি দুটি ল্যাব এবং কক্সবাজারের একটি ল্যাব মিলে ৮১২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১২৮ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তদের মধ্যে নগরের ১০৩ জন এবং উপজেলার ২৫ জন। একইসাথে গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনা থেকে ১১৮ জন সুস্থ হয়েছেন এবং নগরের দুজন মারা গেছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের প্রধান করোনা পরীক্ষাগার ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি)-তে বিদেশগামীদের বাধ্যতামূলক করানো করোনা টেস্টসহ দিনের সর্বাধিক ১৭৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করোনা করা হয়। তাতে করোনা শনাক্ত হয় মাত্র ৪ জন। এর মধ্যে ২ জন নগরের বাসিন্দা ও ২ জন উপজেলার।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটি (সিভাসু) ল্যাবে ৮৭টি নমুনা পরীক্ষা করে করোনা পজিটিভ হন ১৯ জন। এর মধ্যে ১৩ জন নগরের ও ৬ জন বিভিন্ন উপজেলার।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় ১৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২০ জনের শরীরে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। যাদের মধ্যে নগরের ১৮ জন, বাকি ২ জন উপজেলা বাসিন্দা।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১১০ জনের করোনার পরীক্ষা হয়। তাতে ১৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়। যাদের ৮ জন নগরের এবং ৭ জন উপজেলার।

বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩১ জনের দেহে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। যাদের ২৫ জনই নগরের এবং বাকি ৬ জন বিভিন্ন উপজেলার।

চট্টগ্রামের আরেকটি বেসরকারি পরীক্ষাগার শেভরণ ল্যাবে ১৬৪টি নমুনা পরীক্ষা করে দিনের সর্বোচ্চ ৩৮ জনের দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। এদের মধ্যে ৩৭ জনই নগরের এবং বাকি ১ জন উপজেলার বাসিন্দা।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে উপজেলার ১ জন রোগী পাওয়া যায়।

উপজেলা পর্যায়ে নতুনভাবে করোনা শনাক্ত ২৫ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয় সীতাকুণ্ড উপজেলায়। সেখানে ৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এছাড়া ফটিকছড়ি ও হাটহাজারীতে ৪ জন করে, সাতকানিয়া, সন্দ্বীপ ও মিরসরাইয়ে ২ জন করে এবং লোহাগাড়া, পটিয়া, বোয়ালখালী, রাঙ্গুনিয়া ও রাউজানে ১ জন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!