চট্টগ্রামে শনাক্ত দুইশর নিচেই, নগরে ৮ হাজার ছুঁই ছুঁই করোনা রোগী

টানা দ্বিতীয় দিনের মতো চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তের সংখ্যা দুইশর নিচেই থাকলো। আগেরদিন ৭৮১ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছিল ১৬২ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১৮টি নমুনা পরীক্ষা বেড়েছে, তাতে শনাক্তও বেড়েছে ৩০ জন। ফলে একহাজার ৯৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুনভাবে করোনা শনাক্ত হয় ১৯২ জন। যাদের মধ্যে ১৫৮ জন নগরের ও ৩৪ জন বিভিন্ন উপজেলার। এ নিয়ে চট্টগ্রামে ১১ হাজার ৩৮৫ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের জীবাণু পাওয়া গেছে। যাদের মধ্যে নগরেই আট হাজার ছুঁই ছুঁই—সাতহাজার ৯৫৩ জন এবং বিভিন্ন উপজেলা মিলিয়ে তিন হাজার ৪৩২ জন। একই সময়ে করোনায় চট্টগ্রাম নগরে একজন ও উপজেলায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন মোট ২১৪ জন, যাদের মধ্যে ১৫২ জন নগরের ও ৬২ জন উপজেলার বাসিন্দা। ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন মাত্র ৫ জন। ফলে এখন পর্যন্ত একহাজার ৩১৮ জন রোগী করোনাজয় করলেন।

শনিবার (১১ জুলাই) সকালে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, চট্টগ্রামের সরকারি চারটি ও বেসরকারি দুটি ল্যাব এবং কক্সবাজারের একটি ল্যাব মিলিয়ে মোট ১০৯৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় আরও ১৯২ জনের দেহে করোনাভাইরাস পজিটিভ পাওয়া গেছে। নতুন শনাক্তদের মধ্যে নগরের ১৫৮ জন এবং বিভিন্ন উপজেলার ৩৪ জন। একইসাথে চট্টগ্রামে সুস্থ হয়েছেন আরও পাঁচজন এবং মারা গেছেন দুজন, যাদের একজন নগরের ও অন্যজন উপজেলার।

গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের প্রধান করোনা পরীক্ষাগার ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি)-তে দিনের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। আগের দিনের চেয়ে ৪৬ জন বেশি নমুনা পরীক্ষা করেও পজিটিভ মিলেছে আগেরদিনের চেয়ে কম। নতুন শনাক্ত ২৫ জনের মধ্যে ২১ জনই নগরের। বাকি ৪ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটি (সিভাসু) ল্যাবে আগেরদিনের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। সেখানে ১২২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাসের জীবাণু পাওয়া গেছে মাত্র ১০ জনের শরীরে। যাদের ৯ জন নগরের ও ১ জন উপজেলার বাসিন্দা।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে দিনের সর্বাধিক নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সেখানে ২৪ ঘণ্টায় ২৩৬টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৪ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়, যাদের সবাই নগরের।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে আগেরদিনের চেয়ে কিছুটা কম নমুনা পরীক্ষা করা হয়। মোট ১৪৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করিয়ে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হন দিনের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৫ জন। যাদের ২৬ জন নগরের ও ১৯ জন বিভিন্ন উপজেলার।

অন্যদিকে, বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ১৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করিয়ে করোনা পজিটিভ পাওয়া যায় ৩৯ জনের। যাদের ৩৬ জনই নগরের এবং বাকি ৩ জন উপজেলার বাসিন্দা।

গত ২৪ ঘণ্টায় শেভরণ ল্যাবে আগেরদিনের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ১৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে দিনের সর্বোচ্চ ৫৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়। যাদের মধ্যে ৫২ জন নগরের ও ৬ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

এদিন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ১৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করানো হলেও সেটি পজিটিভি আসে মাত্র একজন উপজেলার রোগীর।

উপজেলা পর্যায়ে নতুনভাবে করোনা শনাক্ত ৩৪ জনের মধ্যে আবারও সবচেয়ে বেশি রোগী পাওয়া গেছে হাটহাজারী উপজেলায়। সেখানে ১৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। টানা পঞ্চম দিনের মতো দ্বিতীয় সর্বোচ্চ করোনা রোগীর খোঁজ মেলে রাউজানে, ৫ জন। অবশ্য রাউজানের সমানসংখ্যক ৫ জন রোগী শনাক্ত হয় মিরসরাইয়েও। এছাড়া ফটিকছড়ি, বাঁশখালী ও সীতাকুণ্ডে ৩ জন করে এবং সাতকানিয়া ও রাঙ্গুনিয়ায় ১ জন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!