চট্টগ্রামে লোডশেডিংয়ের বড় প্রভাব পড়বে না, চলবে আগের মতোই

লোডশেডিং বড়জোর হতে পারে ৮০ মেগাওয়াট

সরকারিভাবে ঘটা করে লোডশেডিংয়ের কথা বলা হলেও চট্টগ্রামে এর খুব বেশি প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, চট্টগ্রামের সব উপকেন্দ্র ও পার্বত্য চট্টগ্রামের উপকেন্দ্রগুলোতে লোডশেডিংয়ের মাত্রা হতে পারে উপকেন্দ্রপ্রতি বড়জোর ৫ থেকে ৭ মেগাওয়াট। বর্তমানেও চট্টগ্রামে লোডশেডিংয়ের মাত্রা এরকমই। ফলে যেভাবে বলা হচ্ছে, চট্টগ্রামে লোডশেডিংয়ের সেরকম প্রভাব পড়বে না বলেই ইঙ্গিত দিচ্ছেন চট্টগ্রাম পিডিবির কমর্কর্তারা।

চট্টগ্রামে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) প্রধান প্রকৌশলী রেজাউল করিম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানিয়েছেন, লোডশেডিং বড়জোর ৮০ থেকে ১০০ মেগাওয়াট হতে পারে। চট্টগ্রামের সব উপকেন্দ্র ও পার্বত্য চট্টগ্রামের উপকেন্দ্রগুলোতে এই লোডশেডিংয়ের মাত্রা উপকেন্দ্রপ্রতি বড়জোর ৫ থেকে ৭ মেগাওয়াট হতে পারে। তাও আবার সেটি হতে পারে রোটেশনালি। বর্তমানে যেভাবে চলছে বা এর আগে লোডশেডিং এরকমই ছিল। তাই এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের তেমন বড় প্রভাব পড়বে না চট্টগ্রামবাসীর কাছে।

প্রকৌশলী রেজাউল করিম বলেন, চট্টগ্রাম জোনে মোট সাড়ে ৪০০ ফিডার রয়েছে। সোমবার (১৮ জুলাই) রাতে সব ফিডার মিলিয়ে সীমিত সময়ের জন্য লোডশেডিং হয়েছে। প্রতিদিন চট্টগ্রামে বিদ্যুতের চাহিদা থাকে ১ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট। মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) থেকে ৮০ থেকে ১০০ মেগাওয়াটের মধ্যেই থাকবে লোডশেডিং।

লোডশেডিং নিয়ে সারা দেশের মতো চট্টগ্রামবাসীর মনেও অনেকটা ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তীব্র গরমে বিদ্যুৎবিহীন জীবনযাত্রা কিভাবে চলবে, সেটি নিয়ে দুশ্চিন্তাময় সময় কাটছে কারও কারও। যাদের বাসায় অসুস্থ বৃদ্ধা বাবা-মা কিংবা রোগী আছে, তাদেরই মনেই দুশ্চিন্তা বাধা বেঁধেছে বেশি। সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের সময়সীমা জানার জন্য।

তবে চট্টগ্রাম পিডিবির প্রধান প্রকৌশলী বলেছেন, মঙ্গলবার থেকে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং শিডিউল চালু হলেও যা করার সবই করবে জাতীয় গ্রিড।

এর আগে বিদ্যুৎ সংকট সমাধানে মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) থেকে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী। প্রতিদিন এক থেকে দুই ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। তবে কোন্ এলাকায় লোডশেডিং কখন হবে, তা আগেই জানিয়ে দেওয়া হবে।

সোমবার (১৮ জুলাই) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

লোডশেডিং কোথায় কখন হবে— এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান বলেন, ‘এলাকাভিত্তিক সম্ভাব্য লোডশেডিংয়ের তালিকা করে ওয়েবসাইটে আপলোড করে দেওয়া হচ্ছে। গ্রাহকরা ওয়েবসাইটে গেলেই সেখানে একটি লিংক পাবেন, সেখানে ক্লিক করে তাদের এলাকার সম্ভাব্য লোডশেডিংয়ের সময় জানতে পারবেন।’

তবে চট্টগ্রাম জোনে এখনও কোনো তালিকা তৈরি হয়নি বলে জানান প্রধান প্রকৌশলী রেজাউল করিম। তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামে সচরাচর যেরকম শেডিং থাকে, সেরকমই থাকবে। হয়ত তার চেয়ে আরও কম হতে পারে। তাই ঘটা করে যেভাবে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের কথা বলা হচ্ছে সেরকম প্রভাব চট্টগ্রামে পড়বে না।’

আইএমই/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!