চট্টগ্রামে লেগুনা চালককে ট্রাফিক সার্জেন্টের বেপরোয়া কিল-ঘুষি

চট্টগ্রামের কোতোয়ালীর নিউমার্কেট এলাকায় লেগুনা চালককে মারধরের অভিযোগ ওঠেছে এক ট্রাফিক সার্জেন্টের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় লেগুনা চালকরা খুলশী এলাকায় বিক্ষোভ করে সড়ক অবরোধ করেন। পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে তারা অবরোধ তুলে নেন।

অভিযুক্ত ট্রাফিক সার্জেন্টের নাম সুখেন চন্দ্র দে। তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগে কর্মরত।

মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) দুপরে নিউমার্কেট পুলিশ বক্সের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনার পর পর উত্তেজিত লেগুনা চালকরা খুলশীর রেলওয়ে স্কুলের সামনে রাস্তায় গাড়ি রেখে অবরোধ করেন। পরে যানজট সৃষ্টি হলে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন। এ সময় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ তুলে নেন।
চট্টগ্রামে লেগুনা চালককে ট্রাফিক সার্জেন্টের বেপরোয়া কিল-ঘুষি 1
ট্রাফিক সার্জেন্টের মারধরের শিকার লেগুনা চালক নাছির জানান, আমাদের গাড়িগুলো আমরা প্রতিদিন পার্কিংজোনে রাখি। মঙ্গলবার দুপুরে হঠাৎ সার্জেন্ট সুখেন এসে আমাদের গাড়ি সরিয়ে নিতে বলেন। আমার গাড়ির সামনে ও পেছনে অন্য গাড়ি থাকায় আমি বের হতে পারিনি। এরপর তিনি আমাকে গালিগালাজ করেন এবং ওয়াকিটকি দিয়ে আঘাতসহ কিল-ঘুষি মারেন। এই সময় অন্য চালকরা এসে আমাকে উদ্ধার করেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ট্রাফিক সার্জেন্ট জানান, উত্তেজিত হয়েই তিনি (সুখেন) চড়-থাপ্পড় দিয়েছেন। রাস্তায় এমন হওয়াটা স্বাভাবিক বিষয়।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে সার্জেন্ট সুখেন চন্দ্র দে জানান, এটি সাধারণ একটি ঘটনা। রাস্তায় এমন হতেই পারে।
চট্টগ্রামে লেগুনা চালককে ট্রাফিক সার্জেন্টের বেপরোয়া কিল-ঘুষি 2
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই প্রশাসন দক্ষিণ) অনিল বিকাশ চাকমা জানান, এই ঘটনার বিষয়ে আমার জানা নেই। কেউ অভিযোগ দিলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যোগাযোগ করা হলে অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে ট্রাফিক বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) নাছির উদ্দিন জানান, এক চালককে মারধরের ঘটনা শুনেছি। এই ঘটনায় রাস্তা অবরোধ করলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় লেগুনা চালকরা।

অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত সার্জেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!