চট্টগ্রামে র‍্যাবের নামে প্রতারণা করে ধরা ৬ প্রতারক

চট্টগ্রামে র‍্যাবের নামে প্রতারণা করে বেড়ানো ৬ প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

শনিবার (২ জুলাই) র‌্যাব-৭ চট্টগ্রামের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, প্রতারক চক্রের মূল হোতা চট্টগামের বায়েজিদ থানার গ্রীন ভ্যালি সোসাইটির এ/পি- ট্যাক্সটাইল আল-আমিন মঞ্জিলের বাদশা মিয়া প্রকাশ বাচ্চু মিয়ার দুই পুত্র মো. রুবেল হোসেন ও মো মানিক হোসেন (৩৮), চট্টগ্রামের ইপিজেড থানার এ/পি-লেবার কলোনীর মৃত মো. নুরুল ইসলামরে পুত্র মো. নজরুল ইসলাম (৪৫), নগরের বন্দর থানার ৩ নম্বর ফকিরহাটের সাগীর কোম্পানির মো. সোহরাব শরীফের পুত্র মো. মিজানুর রহমান (৩৪), একই থানার এ/পি-মাইলের মাথার জোবায়েদ মিয়ার ভাড়া ঘরের আবু তাহেরের পুত্র মো. নীরব (২১) এবং নগরের খুলশী থানার গরীবুল্লাহ হাউজিং সোসাইটির মৃত মোস্তফার পুত্র আবু তৈয়ব সিদ্দিকী প্রকাশ মিঠু (৪৯)।

র‌্যাব জানায়, গত ২৬ জুন সন্ধ্যা ৭টার দিকে মো. ইদ্রিস পাটোয়ারী (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে জাল স্ট্যাম্পসহ হাটহাজারী থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। পরবর্তীতে ইদ্রিস পাটোয়ারীর আটকের বিষয়টি জানতে পেরে র‌্যাব ক্যাম্পের কমান্ডারের চালক পরিচয় দিয়ে আটককৃত ব্যক্তি পাটোয়ারীর স্ত্রীকে মুঠোফোনে কল করে প্রতারক রুবেল।

রুবেল তার স্ত্রীকে বলে, ‘আপনার স্বামীর কাছে অবৈধ কোনো কিছু পাওয়া যায়নি। আপনার স্বামীকে ছেড়ে দেওয়া হবে। এ জন্য অফিস খরচ ও স্যারের জন্য ৫ লাখ টাকা দেন।’

তখন ইদ্রিস পাটোয়ারীর স্ত্রী এতো টাকা দিতে পারবে না জানালে রুবেল জানতে চায়, তিনি কত টাকা দিতে পারবেন। ইদ্রিসের স্ত্রী ৫০ হাজার টাকা দিতে পারবে বলে জানান। এ সময় প্রতারক রুবেল এক লাখ টাকা দাবি করে। একপর্যায়ে ৭০ হাজার টাকা দিতে রাজি হন ইদ্রিসের স্ত্রী।

ওইদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে ডাবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ ডেবার দক্ষিনপাড়ের মিনহাজ স্টোর নামে একটি বিকাশের দোকানে প্রতারক চক্রের দেওয়া ৫টি মোবাইল নম্বরে কয়েক দফায় মোট ৭০ হাজার টাকা পাঠান ইদ্রিসের স্ত্রী।

২৭ জুন স্বামীর নামে জাল দলিল স্ট্যাম্প মজুত ও বিক্রয় করার অভিযোগে চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানায় মামলা দায়ের করে র‌্যাব। এ খবর জানতে পেরে প্রতারক রুবেলকে ফোন করে ইদ্রিসের স্ত্রী। কিন্তু রুবেলের কাছ থেকে কোনো সাড়া পাননি তিনি।

এরপর বিষয়টি র‌্যাবকে জানালে রুবেলকে ধরতে অভিযানে নামে র‍্যাব। এই অভিযানে রুবেলসহ এই প্রতারক চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ইদ্রিসের স্ত্রীর ৭০ হাজার টাকাও উদ্ধার করে র‌্যাব।

র‌্যাব আরও জানায়, রুবেল ও মানিক বিভিন্ন কৌশলে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। ২০১৫ সালের ১৬ জানুয়ারি দায়ের হওয়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের মামলায় পলাতক আসামী মো. মানিক হোসেন। গ্রেফতারকৃত আসামীদের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।

এমএ/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!