চট্টগ্রামে রেলকর্তারাই কালোবাজারিতে, টিকিট মেলে রিয়াজউদ্দিন বাজারেও

চট্টগ্রামে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও জড়িত। এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হাতে চলে যাচ্ছে বেশিরভাগই টিকিট। প্রতিটি টিকিট তারা বিক্রি করছে দুই থেকে তিনগুণ দামে। স্টেশন মাস্টারের কাছে নেই কোনো টিকিট। রেলওয়ে স্টেশনের ভেতরে ও বাইরে বিভিন্ন চায়ের দোকান এবং পানের দোকানে (কালোবাজারে) বিক্রি হচ্ছে টিকিট। শুধু তাই নয়, নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজারের কিছু ব্যবসায়ীর হাতেও পাওয়া যাচ্ছে এসব টিকিট।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে টিকিট কালোবাজারির সময় ১১টি টিকিটসহ মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে রেলওয়ের নিরাপত্তাবাহিনী (আরএনবি)। তাকে আটকের পর চট্টগ্রাম প্রতিদিনের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ট্রেনের টিকিট কালোবাজারিতে জড়িতদের মধ্যে রয়েছে প্রধান বুকিং সহকারী দেলোয়ার হোসেন, বুকিং সহকারী ওমর ফারুক, মনির, মো. জসিম উদ্দিন, সহকারী স্টেশন মাস্টার শফিক, টিএক্স আর জাকির, সিএনএস অপারেটর মফিজুর রহমান, আনসার সদস্য কালাম, টিকিট ব্লাকার আকাশ, রফিক, সাইদুল, রিয়াজউদ্দিন বাজারের ব্যবসায়ী ইউসুফ, শাহিন, গণি হোটেলের জানে আলম। এছাড়া এসব কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত রয়েছে জিআরপি থানা পুলিশের কয়েকজন সদস্যও।

টিকিট কালোবাজারি বন্ধ ও টিকিটের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ফিরিয়ে আনতে অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক মিয়া জাহান (অপারেশন) স্বাক্ষরিত আদেশের প্রেক্ষিতে সম্প্রতি বন্ধ করে দেওয়া হয় ট্রেনের টিকিট ব্লকিং সিস্টেম। ব্লকিং সিস্টেম বন্ধ করে দেওয়ার পরও বন্ধ হচ্ছে না টিকিট কালোবাজারি।

এ বিষয়ে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) প্রধান আমান উল্লাহ আমান বলেন, ‘মনে হচ্ছে এখন টিকিট কালোবাজারিদের দৌরাত্ম্য বেড়ে গেছে। আমরা চেষ্টা করছি এসব কালোবাজারিকে ধরতে।’

স্টেশন ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদের কাছে কালোবাজারির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘আমার চাকরির আজ (২৯ ডিসেম্বর) শেষ দিন। তবে এ ধরনের অভিযোগ শুনেছি, কারা জড়িত তাদের নাম আমি জানি না। আপনার কাছে কোনো তথ্য থাকলে আমাকে দেন। যদি আমি জড়িত থাকি তাহলে নিউজে আমার নামও দিতে পারেন।’

জেএস/এএইচ/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!