চট্টগ্রামে রাইড শেয়ারিংয়ের অনুমতি মিলবে শীঘ্রই

চট্টগ্রামে রাইড শেয়ারিং সেবার আওতায় মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি মিলবে শীঘ্রই— এমন আভাস দিয়েছে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। করোনা পরিস্থিতির কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। ওইদিন থেকে রাইড শেয়ারিং সেবাও বন্ধ হয়ে যায়। তবে গত ১ জুন থেকে বাস-মিনিবাস সীমিতভাবে চলাচল শুরু করে। এর মধ্যে ঢাকা ও তার আশেপাশের এলাকায় সীমিত আকারে রাইড শেয়ারিং সেবা চালানোর অনুমতি দেওয়া হলেও চট্টগ্রামে রাইড শেয়ারিং সেবা এখনও বন্ধই রয়েছে।

তবে চট্টগ্রামে রাইড শেয়ারিং সেবা চালু হলেও এর আওতায় কেবল রাইড শেয়ারিং সেবা চালানোর সনদপ্রাপ্ত মোটরসাইকেলগুলোকেই শুধু অনুমতি দেওয়া হবে। এজন্য কিছু শর্ত পালন করা ছাড়াও মানতে হবে সুনির্দিষ্ট স্বাস্থ্যবিধিও। এছাড়া রাইড শেয়ারিং সেবা পরিচালনার সনদসহ সব ধরনের কাগজপত্র সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেল চালাতে হবে।

রাইড শেয়ারিং সেবার নীতিমালা অনুসারে গাড়ির এনলিস্টমেন্ট সনদের ফি ১ হাজার ও মোটরসাইকেলের জন্য ৫০০ টাকা। বিআরটিএর অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে এনলিস্টমেন্ট সনদ গ্রহণ করতে হয়। এই সনদধারী মোটরসাইকেলের বাইরে অন্য মোটরসাইকেল রাইড শেয়ারিং সেবার অ্যাপ ব্যবহার করে যাত্রী পরিবহন করতে পারবে না।

রাইড শেয়ারিং সেবার আওতায় মোটরসাইকেল চালানোর ক্ষেত্রে চালক ও যাত্রীদের যেসব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, তার মধ্যে রয়েছে— চালক ও যাত্রীকে মাস্ক, ফেসশিল্ড, হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার নিশ্চিত করা, চালক ও যাত্রীদের হাত জীবাণুমুক্ত করার জন্য পর্যাপ্ত স্যানিটাইজার রাখা, যাত্রী ও চালক দুজনেরই আলাদা দুটি গুণগত মানসম্মত হেলমেট পরা, প্রতিটি যাত্রার শুরু ও শেষে স্প্রে করে হেলমেট জীবাণুমুক্ত করা, যাত্রার শুরু ও শেষে মোটরসাইকেল পরিষ্কার করাসহ জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করা এবং জীবাণুনাশক ছিটিয়ে যাত্রীর হাতব্যাগ জীবাণুমুক্ত করা।

গত ২১ জুন ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও গাজীপুর এলাকায় রাইড শেয়ারিং সেবার অধীনে ২৫৫টি গাড়ি চালানোর অনুমতি দেয় বিআরটিএ। সম্প্রতি আরও বেশকিছু মোটরসাইকেলের অনুমোদন দেওয়ার পর বর্তমানে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৫৬টি।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!