চট্টগ্রামে রঙের দোকানও খোলা, পেঁয়াজ-রসুন বিক্রি হচ্ছিল দ্বিগুণ দামে

জেলা প্রশাসনের অভিযানে ৭৪টি মামলায় লাখ টাকার দন্ড

করোনা প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে মাঠে ছিল চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ১০ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ১০টি অভিযান টিম। দিনভর অভিযানে ৭৪টি মামলায় ১ লাখ ৮ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

শনিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগরজুড়ে এসব অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযান চলাকালে নগরের আগ্রাবাদে একটি গার্মেন্টস শ্রমিকদের আন্দোলন যৌক্তিক সমাধানের মাধ্যমে বন্ধ করা হয়েছে।

নগরীর চান্দগাঁও, চকবাজার, বাকলিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরি।

তিনি জানান, মূল্য তালিকায় প্রদর্শিত মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে পিঁয়াজ, রসুন ও আদা বিক্রয়ের অপরাধে আলম স্টোরকে ২ হাজার, লিয়াকত স্টোরকে ৪ হাজার, ফুডল্যান্ড ডিপার্টমেন্টাল স্টোরকে ৩ হাজার, আমিন ডিপার্টমেন্টাল স্টোরকে ২ হাজার এবং ফ্যামিলি ফুডসকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি চকবাজার ও চন্দনপুরা এলাকায় দোকান খোলা রাখায় একটি রংয়ের দোকানকে ১ হাজার, একটি টেইলার্সকে ৫০০, একটি লন্ড্রি দোকানকে ৩০০ ও একটি গাড়ির গ্যারেজকে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

চট্টগ্রামে রঙের দোকানও খোলা, পেঁয়াজ-রসুন বিক্রি হচ্ছিল দ্বিগুণ দামে 1

একই অভিযানে সামাজিক দূরত্ব না মানায় চকবাজার ও বহদ্দারহাট মোড় ও কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায় ৮ জন মোটরবাইক চালককে ৪ হাজার ৪০০ ও একজন সিএনজি অটোরিকশা চালককে ২০০ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।

নগরের বন্দর, ইপিজেড, পতেঙ্গা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুন নাহার। অভিযানে ৩টি মামলায় মোট ১ হাজার ২০০ টাকা অর্থদন্ড করা হয়।
এদিকে, সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ কায়সার খসরু অভিযান চালিয়েছেন পাঁচলাইশ, খুলশী ও বায়েজিদ এলাকায়। তিনি বিভিন্ন অপরাধে ১০টি মামলায় ৪০ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেন।

অপরদিকে চাঁন্দগাও, চকবাজার, বাকলিয়া এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মুশফিকীন নূর। অভিযানে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে দোকান খোলা রাখার দায়ে ১টি সেলুন, ১টি টেলিকমের দোকান এবং পান সিগারেটর দোকানকে মোট ৯০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়া পশ্চিম বাকলিয়া এলাকায় ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার জন্য পূর্বের দিনে মুচলেকা দেয়া সত্ত্বেও পুনরায় কাজ চালু করার অভিযোগ পাওয়ায় বাড়ির মালিককে নির্মাণ কাজ বন্ধের জন্য কঠোরভাবে সর্তক করা হয়।

এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা অভিযান চালান সদরঘাট, কোতোয়ালি ও ডবলমুরিং এলাকায়। এ সময় পৃথক ৩টি মামলায় মোট ৫ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা করা হয়। আগ্রাবাদের একটি গার্মেন্টস শ্রমিকদের আন্দোলন মালিক পক্ষের সাথে কথা বলে যৌক্তিক সমাধান করে বন্ধ করা হয়।

এদিকে, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান আকবরশাহ এলাকায় একটি স্টেশনারি দোকানকে ১ হাজার, বিশ্বকলোনি এলাকায় একটি ইলেকট্রনিকস দোকানকে ১ হাজার ও রাশেদ ইলেকট্রনিকসকে ১ হাজার টাকা, মোটরসাইকেলে তিনজন বিনা প্রয়োজনে ঘোরাঘুরি করার কারণে ১ হাজার, অলংকার মোড়ে ২টি টিনের দোকানকে ৩ হাজার ৫০০, কর্নেলহাট বাজার এলাকায় ১টি হার্ডওয়্যার দোকানকে ২ হাজার, হালিশহর আবাসিক এলাকায় ১টি হার্ডওয়্যার দোকানকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া পাহাড়তলী ও হালিশহর এলাকায় ৫ জন পথচারিকে ২০০ টাকা করে জরিমানা করা

বায়েজিদ, খুলশী, পাঁচলাইশ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুস সামাদ শিকদার ৬টি মামলায় ৯ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেন।

বন্দর, ইপিজেড, পতেঙ্গা এলাকায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল হাসান অভিযান চালিয়ে ২টি মামলায় ৮ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

এদিকে, বিকালে কোতোয়ালি, সদরঘাট, ডবমুরিং থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক। তিনি ৬টি মামলায় ২ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা করেন।

এছাড়াও হালিশহর, পাহাড়তলী, আকবরশাহ এলাকার অভিযানে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু বক্কর সিদ্দিক ১০টি মামলায় ৪ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা করেন।

এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!