চট্টগ্রামে মৃত্যুশূন্য দিনে আরও ১৪ জনকে ছুঁয়ে গেল করোনার বিষ

চট্টগ্রামে করোনা অনেকটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে চলে এসেছে। একটানা দ্বিতীয় দিনের মতো করোনা শনাক্ত থাকলো এক শতাংশের নিচে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ হারে ১৪ জনকে ছুঁয়ে গেল করোনার বিষ। এদের মধ্যে নগরেই ১২ জন, বাকি ২ জন উপজেলার বাসিন্দা। একই সময়ে আবারও মৃত্যুশূন্য দিন পাড়ি দিল চট্টগ্রাম।

এ নিয়ে চট্টগ্রামে মোট আক্রান্ত গিয়ে দাঁড়াল ১ লাখ ২ হাজার ৭৪ জনে। এর মধ্যে নগরের ৭৩ হাজার ৮৭৮ জন এবং উপজেলা পর্যায়ে ২৮ হাজার ১৯৬ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ইতোমধ্যে মারা গেছেন ১ হাজার ৩১৩ জন। যাদের মধ্যে নগরের ৭২০ এবং উপজেলার বাসিন্দা ৫৯৩ জন।

বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) চট্টগ্রাম জেলার করোনা সম্পর্কিত এসব তথ্য নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াস চৌধুরী। তিনি বলেন, এদিন চট্টগ্রামের ১১টি ও কক্সবাজারের ১টি ল্যাবে ১ হাজার ৫৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষায় করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১৪ জন।

উপজেলায় শনাক্ত ২ জন রোগী হচ্ছে হাটহাজারী ও সাতকানিয়া উপজেলার। চট্টগ্রামের বাকি উপজেলাগুলোতে এদিন করোনার কোন রোগী পাওয়া যায়নি।

ল্যাবভিত্তিক ফলাফলে জানা যায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে কারও শরীরে করোনার বিষ পাওয়া যায়নি। চট্টগ্রামের প্রধান করোনা পরীক্ষাগার ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৪৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪ জনকে করোনার জীবাণুবাহক হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ১১৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় কোন পজিটিভ রোগী পাওয়া যায়নি।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটি (সিভাসু) ল্যাবে ১০৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় ৪ জনকে করোনা পজিটিভ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এছাড়া, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে কারও নমুনায় করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়নি।

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ১৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নগরের ২ জনের দেহে ভাইরাসটির উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

নগরীর বেসরকারি ল্যাবগুলোর মধ্যে ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। তাতে ২ জনের দেহে ভাইরাসটির জীবাণু পাওয়া যায়। শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিতে ৫৯১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে কারও নমুনায় করোনার জীবাণু পায়নি। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় কোন নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি। পরীক্ষা হয়নি এন্টিজেন টেস্টও। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১ জনের শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। ইপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ১৬টি নমুনা পরীক্ষা করে এবং ল্যাব এইডে ২টি নমুনা পরীক্ষা করে সেগুলোতেও পজিটিভ রোগী পাওয়া যায়নি। তবে নতুন সংযোজিত চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১ জনের শরীরে করোনার জীবাণু পাওয়া গেছে।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!