চট্টগ্রামে মালিকের টাকা মেরে কর্মচারী নিজেই দুটি দোকানের মালিক

প্রতারক কর্মচারীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

প্রবাসী মালিকের প্রতিষ্ঠানে ছিলেন কর্মচারী। মালিকের অনুপস্থিতির সুযোগে টাকা সরিয়ে একসময় নিজেই হয়ে ওঠেন দুই দুইটি প্রতিষ্ঠানের মালিক। প্রতারণার এমন ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড এলাকায়।

এই ঘটনায় মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সরওয়ার জাহান প্রতারক ওই কর্মচারীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন।

জানা গেছে, নগরীর ইপিজেড এলাকার তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘কম্পিউটার ওয়ার্ল্ডের’ ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন প্রতারক জসিম উদ্দিন। প্রতিষ্ঠানের মালিক প্রবাসী হওয়ার কারণে মালিকের অনুপস্থিতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৬৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে ইপিজেড এলাকাতেই কম্পিউটার ডিবিআইটি ভিলেজ ও ফাহাদ ইলেকট্রনিক নামে নিজেই দুটি প্রতিষ্ঠান খুলে বসেন।

পরে অর্থ আত্মসাতের ঘটনাটি জানাজানি হলে আদালতের শরণাপন্ন হন কম্পিউটার ওয়ার্ল্ডের মালিক মোহাম্মদ আলমগীর। প্রবাসী আলমগীরের পক্ষে তার বড় ভাই মো. সামশুদ্দিন মামলার কার্যক্রম পরিচালনা করেন। পরে আদালত অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পিবিআইকে (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) দায়িত্ব দেন।

প্রতিষ্ঠানের মালিকপক্ষ থেকে ৬০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হলেও দীর্ঘ তদন্তের পর পিবিআই অভিযুক্ত কর্মচারী জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে ৩৯ লাখ ২০ হাজার ৫২৯ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়ে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী কানু শর্মা বলেন, ‘কম্পিউটার ওয়ার্ল্ডের কর্মচারী জসিমের বিরুদ্ধে ৬৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। আদালত আমাদের অভিযোগ আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। পিবিআই যাবতীয় তদন্ত শেষে প্রায় ৩৯ লাখ ২০ হাজার ৫২৯ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়ে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। পিবিআইয়ের প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত প্রতারক কর্মচারী জসিমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।’

অভিযুক্ত জসিম উদ্দিন লক্ষীপুর জেলার মৃত হাতেম আলী খানের ছেলে। তার বিরুদ্ধে আদালতে ৪০৮, ৪২০ ও ৫০৬ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

এআরটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!