চট্টগ্রামে মাদক বেচে নাম পাল্টে কোটি কোটি টাকার সম্পদ স্বামী-স্ত্রীর

রুপম চৌধুরী ওরফে রুপন চৌধুরী ওরফে রিপন চৌধুরী একজন পেশাদার মাদক কারবারি। তার একমাত্র পেশাও মাদক ব্যবসা। তার নামে রয়েছে একাধিক মাদক মামলাও। এই ব্যবসার মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দিয়ে নিজের নাম পরিবর্তন করে বিভিন্ন স্থানে সম্পদ গড়েছেন তিনি।

সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে প্রায় আড়াই কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক তথ্য-প্রমাণ পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুদক।

একইসঙ্গে দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে তথ্য গোপন ও আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে পৃথকভাবে আরও একটি মামলা দায়ের করে দুদক।

মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে জেলা সমন্বিত কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর উপসহকারী পরিচালক আবদুল মালেক বাদি হয়ে পৃথকভাবে তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম চট্টগ্রামের হালিশহর থানার মধ্যম নাথ পাড়ার চুন্না ফ্যাক্টরীর মোড় পুষ্প কুঞ্জের দয়াল চৌধুরী পুত্র রুপম চৌধুরী ওরফে রুপন চৌধুরী ওরফে রিপন চৌধুরী। তার বিরুদ্ধে বর্তমানে দুটি মাদক মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

দুদক সূত্রে জানা যায়, দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরীতে ৬৫ লাখ ৬ হাজার ৯৫৯ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করে তথ্য প্রদান করেন রুপম চৌধুরী ওরফে রুপন চৌধুরী ওরফে রিপন চৌধুরী। 

এছাড়া ১ কোটি ৬১ লাখ ৫১ হাজার ৯৫৯ টাকার স্থাবর ও  অস্থাবর সম্পদের জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ও অবৈধভাবে ভোগ দখলে রেখেছেন তিনি। দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।

এছাড়া তার স্ত্রী সন্ধ্যা চৌধুরী দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ১ কোটি ৬০ লাখ ৩ হাজার ২৩০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং ১ কোটি ৯৮ লাখ ৪৯ হাজার ২৩০ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ও অবৈধভাবে ভোগ দখলে রেখেছেন। দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক জেলা সমন্বিত কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর উপপরিচালক (ডিডি) মো. আতিকুল ইসলাম।

এমএ/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!