চট্টগ্রামে ভ্যানের বাজারেও ৫০ টাকার নিচে সবজি নেই

‘কেজিতে ১০ টাকা বেশি না নিলে পোষাচ্ছে না’

লকডাউনেও কমছে না বাজারের তেজ। শুক্রবারও ৫০ টাকার নিচে ছিল না বেশিরভাগ সবজি। ঠেলাগাড়িতে কিংবা বাড়ির পাশের দোকানের টংয়ের ওপর বিক্রি করা সবজিও কিনতে হচ্ছে চড়া দামে। বিক্রেতারা বলছেন, তারা কেজিপ্রতি ১০ টাকা লাভ করছেন। ওই লাভটা না করলে তারা ক্ষতিতে পড়বেন।

চট্টগ্রাম নগরীর কয়েকটি স্পট ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি ঢেড়শ ৫০ টাকা, ঝিঙ্গা ৪০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, চালকুমড়া ৪০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, কচুর লতি ৫০ টাকা, কচুর ছড়া ৬০ টাকা, লাউ ৪০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, বড় শসা বা ফল ৬০ টাকা, ধনেপাতা ৮০ টাকা এবং কাঁচামরিচ ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে ভ্যানগাড়িতে।

এছাড়া আলুর কেজি ২০ টাকা, পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজিতে। কাকরল ৫০ টাকা, টমেটো মিলছে ৮০ টাকা কেজিতে।

নগরীর দেওয়ানহাট মিস্ত্রিপাড়ায় সীমা গার্মেন্টেসের কাছে ভ্যানগাড়িতে তরকারি বিক্রি করেন নুরুন্নবী। তিনি অকপটে স্বীকার করেন, প্রতি কেজিতে ১০ টাকা বেশি নেওয়ার বিষয়টি। নূরুন্নবী বলেন, ‘এ লকডাউনে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে রিয়াজউদ্দিন বাজার থেকে সবজি নিয়ে যাচ্ছি। কেজিপ্রতি ১০ টাকা করে বেশি না নিলে আমরা পোষাতে পারব না।’

এদিকে লকডাউনকে কেন্দ্র করে বেশিরভাগ স্পটেই খোলা জায়গায় সবজি বিক্রি করতে দেখা গেছে। এলাকাভিত্তিক মোড়ে মোড়ে এসব সবজি বিক্রেতা বিভিন্ন স্থানে বসে তরকারি বিক্রি করছেন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। সাধারণত ছয়টার পরেই ভ্যানগাড়ির দোকান বন্ধ করতে দেখা গেছে অনেক দোকানিকে।

এদিকে লকডাউনে সবজির বাড়তি দামে নাভিশ্বাস সাধারণ মানুষের। এতে দৈনিক মজুরিভিত্তিতে কাজ করা শ্রমিকরাই বিপদে পড়েছেন বেশি।

সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক রহমত বলেন, ‘জমানো কিছু টাকা ছিল। তা থেকে খরচ করে আজ ৩০০ টাকার বাজার করেছি। ঘরে পরিবারের সদস্যসংখ্যা ৭ জন। যে সবজি কিনেছি, তা ব্যাগের তলাতেই পড়ে আছে। লকডাউনে কিভাবে পরিবার নিয়ে চলব, ভাবতে পারছি না।’

আইএমই/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!