চট্টগ্রামে ভায়াগ্রাসহ উত্তেজক ওষুধের বেচাকেনা বেড়েছে হঠাৎ

করোনাভাইরাসের এই সময়ে চট্টগ্রামে হঠাৎ বেড়েছে যৌন উত্তেজক ওষুধের বিকিকিনি। ফার্মেসিগুলোতে হানা দিলেই মিলছে ভায়াগ্রার মত ক্ষতিকর ওষুধ। এদিকে আগে ফুটপাতে মিললেও এখন ফার্মেসিতেই স্থান করে নিচ্ছে নকল হ্যান্ডস্যানিটাইজার ও হেক্সিসল। সুদৃশ্য লেবেল ও গন্ধ এমনই অবিকল যে, এগুলো সাধারণ মানুষের পক্ষে ধরাও কঠিন। এর বাইরে বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালানোর পরও ফার্মেসিতে সরকারি ওষুধের বেচাকেনা বন্ধ করা যাচ্ছে না। ফার্মেসিগুলোতে দেখা গেছে, করোনা সংক্রমণ রোধে ব্যবসায়ীরা মানছেন না সামাজিক দূরত্বও।

রোববার (৫ জুলাই) চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হাসানের নেতৃত্বে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বায়েজিদ থানার অক্সিজেন এলাকার বিভিন্ন ফার্মেসিতে জেলা প্রশাসনের অভিযানে যৌন উত্তেজক ওষুধসহ বিপুল পরিমাণ নকল হ্যান্ডস্যানিটাইজার ও হেক্সিসল জব্দ করা হয়েছে। বিভিন্ন ফার্মেসিকে আটটি মামলা দিয়ে জরিমানা করা হয়েছে ৯০ হাজার টাকা।

করোনার এই সময়ে নগরের ফার্মেসিগুলো নকল ও ভেজাল হ্যান্ডস্যানিটাইজার, হেক্সিসল ও অনুমোদনহীন ওষুধ বিক্রি করে ঝুঁকিতে ফেলছে সাধারণ মানুষকে।

চট্টগ্রামে ভায়াগ্রাসহ উত্তেজক ওষুধের বেচাকেনা বেড়েছে হঠাৎ 1

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হাসান বলেন, ‘অক্সিজেন এলাকায় অভিযানে গিয়ে দেখা যায়, ফার্মেসিগুলোতে নকল হ্যান্ডস্যানিটাইজার ও হেক্সিসল বিক্রি হচ্ছে। ছাড়াও আনরেজিস্টার্ড ওষুধ, ভারতীয় ভ্যাকসিন, কসমেটিকস, সরকারি ওষুধও বিক্রি হচ্ছে। এমনকি ভায়াগ্রার মত ক্ষতিকর যৌন উত্তেজক ওষুধও বিক্রি হচ্ছে অবাধে।’

এরকম বিভিন্ন অভিযোগে কেয়ার এন্ড কেয়ার ফার্মেসিকে ৩০ হাজার টাকা, বিসমিল্লাহ ফার্মেসিকে ২০ হাজার টাকা, হাফসা হানিফ মেডিকেলকে ১৫ হাজার টাকা, আল মাশাফি ফার্মেসিকে ১৫ হাজার টাকা, ইকবাল ফার্মেসিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও একই এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ব্যবসা করায় তিনটি খুচরা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানাসহ সবমিলিয়ে আটটি মামলায় ৯০ হাজার জরিমানা করা হয়।

অভিযান চলাকালে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক মো. কামরুল হাসান ও নগর পুলিশের একটি টিম উপস্থিত
উপস্থিত ছিলেন।

সিএম/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!