চট্টগ্রামে বেপরোয়া চোর চক্র, আতুরার ডিপোতে গ্রেপ্তার চার

তথ্য সরবরাহ করে বুয়া, চুরি করে সংঘবদ্ধ চক্র

চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানার আতুরার ডিপো এলাকায় চুরি হওয়া স্বর্ণলংকার ও সৌদি রিয়ালসহ ৪ চোরকে গ্রেপ্তার করেছে বায়জিদ থানা পুলিশ। শুক্রবার গ্রেপ্তারকৃতদের কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, ২৫ ডিসেম্বর আতুরার ডিপো এলাকায় সৌদি প্রবাসীর ঘরের দরজা ভেঙে দুর্ধর্ষ চুরি ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বায়েজিদ থানায় মামলা দায়ের করেন সৌদি প্রবাসী কাজী মোহাম্মদ মোনায়েম হাসনাত। এরপর অভিযান চালিয়ে ১০ জানুয়ারি আতুরার ডিপো এলাকা থেকে মো. সাইফুল ইসলাম (২২) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয় পুলিশ।

তার স্বীকারোক্তি মতে নোয়াখালী জেলার চরজব্বর থানার দুর্গম এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সাইফুদ্দিন (৩২) ও তার স্ত্রী রুমা আকতারকে (৩৮)। তাদেরকে থানায় নিয়ে রিমান্ডে থাকা মো. সাইফুল ইসলামের মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরে মো. আলম (২৪) নামে আরও একজনকে চুরির কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পরবর্তীতে মো. সাইফুল ইসলামের বাসা হতে বাদীর চুরি যাওয়া স্বর্ণলংকার ও রিয়াল, সাইফুদ্দিন ও তার স্ত্রী রুমা আকতারের বাসা থেকে বাদীর চুরি যাওয়া অন্যান্য স্বর্ণলংকার উদ্ধার করা হয়।

জানা গেছে, আতুরার ডিপোস্থ শাহ আমানত আবাসিকের সৈয়দা নাসিমা জামিল মঞ্জিলে থাকেন প্রবাসী কাজী মোহাম্মদ মোনায়েম হাসনাত। ২৫ ডিসেম্বর তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাকলিয়া এলাকায় খালার বাড়িতে বেড়াতে যান। ৫ দিন সেখানে থেকে ৩০ ডিসেম্বর বাসায় ফিরে দেখেন মেইন গেইটের দরজা, রুমের দরজা খোলা ও ঘরের ভেতরে থাকা স্বর্ণলংকার, সৌদি রিয়ালসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নাই। পরে থানায় মামলা দায়ের করেন তিনি।

বায়জিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, আসামিদের তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী মো. সাইফুল ইসলাম। তাকে গ্রেপ্তারের পর অন্যদেরও খোঁজ পাওয়া গেছে। তাদের শুক্রবার কোর্টহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

ওসি জানান, একটি সংঘবদ্ধ সিঁধেল চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য এরা। বাসা বাড়িতে দিনের বেলায় কাজের বুয়া সেজে বাসা রেকি করে এবং সে তথ্য অন্যদের সরবাহ করে। পরবর্তীতে রাতের বেলায় সুকৌশলে ওই ঘরে প্রবেশ করে স্বর্ণলংকার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়।

উদ্ধারকৃত মালামালের মধ্যে রয়েছে- হাতের ব্যাচলেট, হার, আংটি, কানের দুল, গলার চেইন, স্বর্ণের চুড়ি, এলইডি টিভি (৩৮ ইঞ্চি), সর্বমোট ১৩ ভরি স্বর্ণলংকার ও বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪৬ হাজার ২৩ টাকা মূল্যমানের রিয়াল। এছাড়া ১টি লোহার তৈরি কাটার, লোহার রড এবং কাঠের বাটযুক্ত লোহার তৈরি হাতুরি জব্দ করা হয়।

এএস/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!