চট্টগ্রামে মার্চ মাস শ্রম দিয়ে এই করোনা দুর্যোগেও ১৮ এপ্রিল (শনিবার) রাত পর্যন্ত বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বেপজা ও বিটিএমইএসহ ছোট-বড় ১৬৬টি কারখানার শ্রমিকরা তাদের বেতন বুঝে পায়নি। ১৬৬টি কারখানার মধ্যে উল্লেখিত ৪টি সংগঠনভুক্ত সদস্য সংখ্যা ৯৭টি প্রতিষ্ঠান। প্রস্তুতকৃত এসব পণ্য প্যাকেজিং ও সাব কন্ট্রাক্টে কাজ করা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৬৯টি। শ্রমিকরা প্রায় প্রতিদিনই রাস্তায় নামছে তাদের বকেয়া বেতনের দাবিতে।
চট্টগ্রামে বড় চারটি সংগঠনভুক্ত ৯৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সদস্যভুক্ত ৬৮টি, নিট পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) সদস্য ১৫টি, বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেপজা) অধিভুক্ত ১২টি প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিল অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমইএ) সদস্যভুক্ত ২টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
রোববার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (সিইপিজেড) মহাব্যবস্থাপক খোরশেদ আলম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, আমাদের আর ৬টি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের বেতন বকেয়া রয়েছে। তা আগামী বৃহস্পতিবারের (২৩ এপ্রিল) মধ্যে পরিশোধ হয়ে যাবে।
কর্ণফুলী রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (কেইপিজেড) সূত্রে জানাগেছে, তাদের ৪১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এখনো ৪টি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করা হয়নি। তবে দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে বেতন পরিশোধ করা হবে বলে তারা জানান।
তবে বিজিএমইএ পরিচালক মো. আতিক বলেন, আমাদের সংগঠভুক্ত ৪৫টি প্রতিষ্ঠান মার্চ মাসের বেতন পরিশোধ করতে পারেনি। তারাও চলতি সপ্তাহের মধ্যে তা পরিশোধ করার কথা রয়েছে।
বেতন দিতে না পারার বিষয়ে তিনি বলেন, ২৫ মার্চ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে কাজ হয়েছে। শিপমেন্ট হতে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত সময় লেগেছে। কিন্তু কোন বিল এখনও কেউ পায়নি। চট্টগ্রামে আমাদের সংগঠনভুক্ত ৩২৪টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যে কয়টা দিতে পারেনি তাদেরকে দ্রুত বেতন পরিশোধের তাগাদা আমরা দিচ্ছি।
বিকেএমইএ পরিচালক রাজিব দাশ সুজয় বলেন, আমাদের ১৫টি প্রতিষ্ঠান এখনো বেতন দিতে পারেনি। তারা ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় নিয়েছে। আমরা আশা করছি তারা তাদের চেয়ে নেওয়া সেই সময়ের মধ্যে শ্রমিকদের মার্চ মাসের বেতন বুঝিয়ে দিতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সরকার প্রথমে ২৫ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। জরুরি শিপমেন্ট থাকায় অনেকেই সেই বন্ধে কারখানা খোলা রাখেন। সরকার সেই ছুটি দ্বিতীয় দফায় ১৪ এপ্রিল ও তৃতীয় দফায় ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি করে। এরই মধ্যে সরকার এই খাতে ৫ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা ঘোষণা করে।
এফএম/সিপি