চট্টগ্রামে বৃষ্টি মিলবে সপ্তাহ গেলে, তাপদাহ চলবেই

বুধবার চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগের দিনও একই তাপমাত্রা ছিল চট্টগ্রামে। এ তাপমাত্রা সপ্তাহব্যাপী তাপদাহের লক্ষণ। সপ্তাহ পার হলে তবেই মিলতে পারে বৃষ্টির দেখা। চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ আবদুল হান্নান এমনটিই জানালেন।

অন্যদিনের মতো বুধবারও চট্টগ্রাম বিভাগের সীতাকুণ্ড, ফেনী, নোয়াখালী ও রাঙামাটির ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে।

চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের দেওয়া পূর্বাভাস অনুসারে, চলমান তাপদাহ থাকবে এক সপ্তাহ। এরপরই বৃষ্টির দেখা মিলবে। এই এক সপ্তাহ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রির নিচে নামবে না চট্টগ্রামে। কোথাও যদি বৃষ্টি হয়, সেটি এক জায়গাতেই সীমাবদ্ধ থাকতে পারে। যেমন ফটিকছড়িতে বৃষ্টি হলে অন্য কোথাও হবে না শুধু ফটিকছড়িতে হবে। কিন্তু অন্য সব স্থানে তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে।

এর আগে ফাল্গুন মাস কিছুটা শীতল ছিল। কিন্তু চৈত্র মাসের মাঝামাঝি সময়ে এখন বেশ গরম পড়ছে। দেশের মধ্যাঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে দাবদাহ। এ ধরনের আবহাওয়া আরও দুদিন থাকতে পারে দেশব্যাপী। ৩ এপ্রিল থেকে কয়েক দিন দেশের কোথাও কোথাও কালবৈশাখীর সঙ্গে বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। ঝড়-বৃষ্টি হলেও আবহাওয়াবিদরা জানান, গরমের ভাব সহজে কমবে না।

এদিকে দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে ১০ থেকে ১৫ দিন পর বজ্রঝড় ও কালবৈশাখীর আভাস দিয়েছে চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিস। এতে চট্টগ্রামজুড়ে মেঘলা থাকবে আকাশ। কোথাও কোথাও হবে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। কিন্তু সেটি হবে অঞ্চলভিত্তিক। আর সেই বৃষ্টির স্থায়িত্ব থাকবে ১০ থেকে ১৫ মিনিট। পরবর্তীতে আবার দেখা দেবে রোদের হাসি।

আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ আবদুল হান্নান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে আরও বলেন, বুধবার রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। চট্টগ্রামের তাপমাত্রা একসপ্তাহ ধরে একই ধাঁচে থাকবে। অবশ্য সমুদ্রে কোন নিম্নচাপ বা লঘুচাপ নেই। দিনের দৈর্ঘ্য বড় হচ্ছে।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, প্রকৃতিতে এখন চলছে কালবৈশাখীর প্রাক-প্রস্তুতি পর্ব। আবহাওয়ার স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে তাপমাত্রা।

এএস/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!