চট্টগ্রামে বৃষ্টি ঝরবে নিয়মিতই, ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা নেই চলতি সপ্তাহে

দেশের উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপের ফলে থেমে থেমে টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে চট্টগ্রামে। লঘুচাপের ফলে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রতিদিন বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে চলতি সপ্তাহে লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে। ফলে এ সময় ঘূর্ণিঝড়ের আশংকা নেই বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

চট্টগ্রামের পতেঙ্গাস্থ আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ ড. শহিদুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের জন্য যে পূর্বাভাসগুলো দেখা দেয়, তা এখনও দেখা যায়নি। তবে আগামী মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার মুষলধারে বৃষ্টিসহ চলতি সপ্তাহের পুরোটাই কাটবে বৃষ্টিতে।

ড. শহিদুল ইসলাম আরও বলেন, লঘুচাপের কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় বায়ু চাপের তারতম্য ঘটেছে। যার কারণে গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালা সৃষ্টি হয়েছে। লঘূচাপ বড়জোর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। নিম্নচাপে পরিণত হলে মুষলধারে বৃষ্টি ঝরিয়ে এটি দুর্বল হয়ে যাবে।

তিনি আবহাওয়ার গাণিতিক দিক বিশ্লেষণ করে জানান, রোববার (২৫ জুলাই) বৃষ্টিপাত হতে পারে ১৫ মিলিলিটার, সোমবার (২৬ জুলাই) বৃষ্টিপাত হতে পারে ১৩ মিলিলিটার, মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) ১২০ মিলিলিটার, বুধবার (২৭ জুলাই) ৮৮ মিলিলিটার, বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) বৃষ্টিপাত হতে পারে ১৩৬ মিলিলিটার।

ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্য সমুদ্রের জলের তাপমাত্রা কমপক্ষে ২৬ থেকে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকতে হয়। কিন্তু বর্তমানে বঙ্গোপসাগরের তাপমাত্রা ২৪ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলিসিয়াসের বেশি না, জানান ড. শহিদুল ইসলাম। এছাড়াও ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্য মেঘ উর্ধ্বাকাশে থাকতে হয়। কিন্তু এখন মৌসুমী বাতাস বেশি থাকায় মেঘমালা বেশি উপরে উঠতে পারছে না।

জানা যায়, কোনো স্থানে বায়ুর তাপ বৃদ্ধি পেলে সেখানকার বায়ু উপরে উঠে যায়। ফলে বায়ুর চাপ ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়। আর সেটাই নিম্নচাপ। এ নিম্নচাপ অঞ্চলে প্রায় বায়ুশূন্য অবস্থায় থাকে বলে আশপাশের অঞ্চল থেকে বায়ু প্রবল বেগে ঘুরতে ঘুরতে নিম্নচাপ কেন্দ্রের দিকে ছুটে আসে। এ নিম্নচাপ কেন্দ্রমুখী প্রবল ঘূর্ণি বায়ুপ্রবাহকে বলে সাইক্লোন বা ঘূর্ণিঝড়।।

এদিকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম নদী বন্দরে ১ নম্বর নৌ-সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আইএমই/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!