চট্টগ্রামে বিধিনিষেধের শৃঙ্খলে থার্টিফার্স্ট বরণ

২০ এর আলোয় ঘুচে যাক ১৯ এর আঁধার

ঘড়ির কাঁটা ১২টা পার করতেই নগরীর আকাশ আলোকিত হয়ে ওঠে আতশবাতির ঝলকানিতে। বাজনা-বাজির ধুমধাম শব্দে নতুন বছরকে বরণ করে নিয়েছে নগরবাসী। তবে বিভিন্ন ঘরোয়া আয়োজনের মধ্যে দিয়ে চট্টগ্রাম নগরীতে থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপন করা হলেও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে (সিএমপি)’র নিষেধাজ্ঞার কারণে আউটডোরে ছিল না কোনও ধরনের অনুষ্ঠান।

অন্যদিকে বছরের শেষ দিনটির সূর্য ডুবার দৃশ্য উপভোগ করতে বিকেল থেকেই নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, নেভাল একাডেমি, শাহ আমানত (তৃতীয় কর্ণফুলী) সেতু এলাকায় নামে মানুষের ঢল। তবে সন্ধ্যা নামতেই নিরাপত্তাজনিত কারণে এসব স্থান ফাঁকা করে দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

বছরের শেষ দিনটি উদযাপনে পরিবার-পরিজনসহ অনেকেই গাড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন রাতের নগরীতে। আবার কেউ কেউ ঘুরেছেন রিকশায় চড়ে।

কর্ণফুলী নদীতে জাহাজে থার্টি ফার্স্টের আলোকসজ্জা।
কর্ণফুলী নদীতে জাহাজে থার্টি ফার্স্টের আলোকসজ্জা।

পরিবার নিয়ে ঘুরতে বের হওয়া বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা আবু সিহাব চৌধুরী বলেন, ‘সচরাচর রাতে শহর দেখার সুযোগ হয় না। তাই পরিবার নিয়ে আজ ঘুরতে বেরিয়েছি নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে। তবে ভালো লাগছে রাতের শহর।’

এদিকে থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপনে ভিড় লক্ষ্য করা যায় নগরীর ফুলের দোকানগুলোতে। চেরাগি পাহাড় এলাকার ফুল ব্যবসায়ী উজ্জ্বল দাশ বলেন,‘বছরের এ সময়ে ফুলের চাহিদা বেশি থাকে। আজকে গোলাপ, রজনীগন্ধা, বেলী ফুল বেশি বিক্রি হয়েছে।’

তবে ক্রেতাদের অভিযোগ আজকের এই দিনটিকে পুঁজি করে দাম বেশি হাঁকছেন ক্রেতারা। অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, চাহিদা বেশি থাকার কারণেই দাম একটু বাড়তি আজকের বাজারে।

এ বছর কোনও হামলা বা অঘটনের আশঙ্কা না থাকলেও তৎপরতা লক্ষ্য করা যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। নিরাপত্তা জোরদার করতে সন্ধ্যা থেকেই নগরীর গুরুত্বপূর্ণস্থানে বসানো হয় চেকপোস্ট। বাড়তি পুলিশ ফোর্স মোতায়েন ছাড়াও বাড়ানো হয়েছে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি।

তবে নতুন বছরকে বরণ করে নিতে নিরাপত্তাবেষ্টনীর মধ্যেও নগরীর পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন ব্লু, হোটেল আগ্রাবাদ, পেনিনসুলা চিটাগাং, চট্টগ্রাম ক্লাব, সিনিয়র ক্লাবসহ নগরীর অভিজাত হোটেল ও রেস্তোরাঁয় রাতভর চলছে নানা অনুষ্ঠান।

এএ/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!