চট্টগ্রামে বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ কর্মীদের অনশন

চট্টগ্রাম মহানগরের ডবলমুরিং থানার সদ্য ঘোষিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাকিব হায়দারকে‘অবৈধ অস্ত্রধারী ও হত্যা মামলার আসামী’উল্লেখ করে তার গ্রেফতার ও কমিটি বাতিলের দাবিতে অনশনে বসেছে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। পরে মহানগর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের নির্দেশে মহানগর ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী গিয়ে তাদের অনশন ভাঙ্গান।

রোববার (১ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে এই অনশন কর্মসূচি পালন করেন তারা। ঘন্টা দুয়েক অনশনের পর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নগর ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ১০ জন নেতাকর্মী এসে তাদের অনশন ভাঙ্গান।

চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল করিম বিলাস চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘দুই থানা কমিটি নিয়ে বিতর্ক উঠলে কেন্দ্রীয় কমিটি একটি তদন্ত কমিটিকে তা তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটি দুই পক্ষের সাথে কথা বলেছে। বলা হয়েছে- তারা রিপোর্ট না দেয়া পর্যন্ত যাতে কোন পক্ষ থেকে কোন কর্মসূচি পালন করা না হয়। কিন্তু এই নির্দেশ না মেনে দুই কমিটির নেতারা কর্মসূচি পালন করলে বিরোধী পক্ষের মধ্যে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। এজন্য তারা লাগাতার কর্মসূচিতে যাওয়ার কথা বলছে।’

‘অনশনের খবর পেয়ে আমরা নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সাথে কথা বলি। তিনি আমাদের বলেছেন, সামনে নির্বাচন। এমন কিছু যাতে না হয় যার বিরুপ প্রভাব নির্বাচনে না পরে। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাথে তিনি কথা বলবেন। তিনি আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন যাতে অনশনকারীদের বুঝিয়ে অনশন কর্মসূচি বন্ধ করি। উনার নির্দেশে আমরা অনশনকারীদের সাথে কথা বলে তাদের অনশন ভাঙ্গিয়েছি।’ যোগ করেন বিলাস।

আন্দোলনকারীদের অনশন ভাঙ্গাতে যাওয়া মহানগর ছাত্রলীগের নেতারা হলেন- মহানগর ছাত্রলীগের সহসভাপতি শাহীন মোল্লা, ফারুক ইসলাম, সৌমেন বড়ুয়া, শহিদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল করিম বিলাস, সাংগঠনিক সম্পাদক ইরফানুল হক জিকু, উপসম্পাদক মোহাম্মদ বিন ফয়সাল, মো. আরিফুল ইসলাম, তালুকদার রাসেল।

এআরটি/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!