চট্টগ্রামে বাসাবাড়ির টয়লেট বর্জ্য পাইপলাইনে সরাসরি যাবে পরিশোধনাগারে

৪ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পে সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক

চট্টগ্রাম নগরীজুড়ে বিভিন্ন বাসাবাড়ি থেকে প্রতিদিন তৈরি হওয়া বিপুল পরিমাণ মানববর্জ্য অপসারণে চট্টগ্রাম ওয়াসাকে সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, চট্টগ্রাম নগরীর বাসাবাড়িতে পাইপলাইন বসিয়ে রান্নাঘর, গোসলখানা এবং টয়লেটের বর্জ্য সংগ্রহ করা হবে। পাইপলাইনের মাধ্যমে সেই বর্জ্য সরাসরি চলে যাবে ওয়াসার পরিশোধনাগারে। সেখানে বর্জ্যগুলো পরিশোধনের পর পাওয়া পানি ফেলা হবে নদী ও বঙ্গোপসাগরে।

তবে ওয়াসার কারিগরি যাচাই-বাছাইয়ে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর প্রায় ৩০ ভাগ এলাকার বাসাবাড়ি এখনও পাইপলাইন বসানোর উপযোগী নয়। এ ধরনের ক্ষেত্রে বাসাবাড়ির অন্তত ৩৩০ টন টয়লেট বর্জ্য ওয়াসার পরিশোধনাগারে নিয়ে যাওয়া হবে ভ্যাকুয়াম ট্রাক ও গাড়ির মাধ্যমে। ‘চট্টগ্রাম পানি সরবরাহ উন্নয়ন ও স্যানিটেশন প্রকল্পের ফেইজ-২’এর অধীনে এই কাজে কারিগরি সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক।

ওই প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম নগরীর বাসাবাড়ি থেকে চট্টগ্রাম ওয়াসার মাধ্যমে ৩০০ টন এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে ৩০ টন টয়লেট বর্জ্য বা ফিকেল স্ল্যাজ সংগ্রহ করে ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে নিয়ে পরিশোধন করা হবে।

ইতিমধ্যে ১০ কোটি লিটার ধারণক্ষমতার একটি সলিড ওয়েস্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (এসটিপি) এবং ৩০০ টন ধারণক্ষমতার ফিকেল স্ল্যাজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (এফএসটিপি) নামে দুটি শোধনাগার নির্মাণের কাজ চলছে কোরিয়ান একটি প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে। অন্যদিকে পাইপলাইন বসানো বা নেটওয়ার্কিংয়ের কাজ করছে দুটি চীনা প্রতিষ্ঠান।

এই প্রকল্প বাস্তবায়নে চট্টগ্রাম ওয়াসার পাশাপাশি সিটি কর্পোরেশন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকেও যুক্ত করতে চায় বিশ্বব্যাংক।

বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) বিশ্বব্যাংকের প্রকল্প প্রস্তাবনা নিয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে ওয়াসার কর্মকর্তারা। সেই বৈঠকে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিরাও ছিলেন। ওয়াসা এরপর চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও বৈঠকে বসবে। তিন সংস্থার সমন্বয়ে এরপরই হবে ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা চুক্তি।

ওয়াসার প্রকল্পটি বাস্তবায়নে চট্টগ্রাম নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডকে ৬টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে বর্তমানে চলছে প্রথম জোনের কাজ।

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে মোট খরচ হবে ৩ হাজার ৮০৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৫০ কোটি টাকা দেবে চট্টগ্রাম ওয়াসা। বাকি টাকা আসবে কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংকের কাছ থেকে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!