চট্টগ্রামে বাণিজ্য মেলার স্থায়ী ভেন্যু বরাদ্দের ঘোষণা তথ্যমন্ত্রীর

মাসব্যাপী মেলা শুরু, থাকছে ৪০০ স্টল

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, ‘বে-টার্মিনালের বিপরীতে এই চট্টগ্রামের বাণিজ্য মেলার জন্য একটি স্থায়ী ভেন্যু সহসা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। যেখানে আগামী বছর থেকে বাণিজ্যমেলার আয়োজন হবে।‘

বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম নগরীর রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ড মাঠে দ্য চিটাগং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির মাসব্যাপী মেলার উদ্বোধনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশের জিডিপি ৮০ বিলিয়ন থেকে ৪৭৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে মাথাপিছু আয়ও। এসবই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বগুণে।’

তিনি চট্টগ্রামের হামিদচরে পার্কিং সুবিধাসহ মেলা আয়োজনের জন্য একটি স্থায়ী কনভেনশন হল স্থাপনের পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন। এছাড়া পবিত্র রমজানসহ সকল ধর্মীয় উৎসবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি না করতে এবং এর বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোকে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এমএ লতিফ এবং এফবিসিসিআইর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত চট্টগ্রামে বাণিজ্য মেলার জন্য স্থায়ী জায়গা বরাদ্দের ওপর গুরুত্বারোপ করে মেলা কমিটির উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের কাছে ১০ একর জায়গা বরাদ্দ দেওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছি। এই জায়গা বরাদ্দ পেলে স্থায়ী ভেন্যু করতে পারবো।’

মেলা কমিটির চেয়ারম্যান একেএম আকতার হোসেন বলেন, ‘মেলায় আগত দর্শক-ক্রেতার সুবিধার্থে সার্বক্ষণিকভাবে একটি ইনফরমেশন বুথ বা তথ্য কেন্দ্র চালু থাকবে। মেলায় অংশগ্রহণকারী ও আগত দর্শনার্থীদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মেলা প্রাঙ্গণে চৌকস পুলিশ বাহিনী তিন শিফটে বিভক্ত হয়ে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যগণও বিশেষভাবে নিরাপত্তা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবেন। এছাড়াও মেলা প্রাঙ্গণে সুদক্ষ প্রাইভেট সিকিউরিটির সদস্যরা ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন।’

মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্য থেকে ১ম, ২য় ও ৩য় স্টল, প্যাভিলিয়ন ও দেশীয় পণ্য উৎপাদনকারী নির্বাচন করে বিশেষ পদক এবং সনদ দেওয়া করা হবে।

মেলায় প্রবেশের জন্য টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ টাকা। বিভিন্ন স্কুলের প্লে থেকে ৭ম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিনামূল্যে টিকিটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাসব্যাপী মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে।
এবারের মেলায় ২০টি প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন, ৫৬টি প্রিমিয়ার স্টল, ১৪টি গোল্ড স্টল, ৪৮টি মেগা স্টল, ১১টি ফুড স্টল, ৩টি আলাদা জোন নিয়ে ৪০০টি স্টলে তিন শতাধিক প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা।

এবারের মেলায় ভারত, থাইল্যান্ড ও ইরান বিভিন্ন স্টলের মাধ্যমে তাদের পণ্য প্রদর্শন করবে।

এএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!