চট্টগ্রামে বাজার নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান

করোনাভাইরাসকে পুঁজি করে বাজারে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধে নগরের বিভিন্ন বাজার মনিটরিং করেছে জেলা প্রশাসন। অভিযানে মোট ২৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের খোঁজখবর নেওয়া হয়।

সোমবার (৩০ মার্চ) নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আবদুস সামাদ শিকদার, সুজন চন্দ্র রায়, মুশফিকীন নুর, এসএম আলমগীর, কাজি তাহমিনা শারমিন এ অভিযান পরিচালনা করেন।

জানা গেছে, ম্যাজিস্ট্রেট সুজন চন্দ্র রায় নগরের ডবলমুরিং, বন্দর, ইপিজেড পতেঙ্গা এলাকার বিভিন্ন বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে বন্দরটিলা বাজারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৮ ধারায় শিমুল স্টোরকে ২ হাজার, ইপিজেড চৌধুরী বাজারে আজমির স্টোরকে ৫ হাজার, সাতকানিয়া স্টোরকে ৫ হাজার, পাহাড়তলী বাজারে রুপা স্টোরকে ৫ হাজার ও আলমগীর স্টোরকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ম্যাজিস্ট্রেট আবদুস সামাদ শিকদার নগরের চান্দগাঁও পাঁচলাইশ, খুলশী, বাকলিয়া এলাকার বিভিন্ন বাজার ও দোকানে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে বহদ্দারহাট মোড়ে লাইসেন্স ছাড়া মোটরসাইকেল চালানোর দায়ে তিনজনকে ১ হাজার টাকা করে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া ষোলশহর ২ নম্বর গেইটস্থ কর্ণফুলী বাজারে মূল্য তালিকা না টাঙানোর দায়ে এক দোকানিকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এদিকে, ম্যাজিস্ট্রেট মুশফিকীন নুর চকবাজার, বায়েজিদ ও এসএম আলমগীর সদরঘাট, কোতায়ালী এলাকার বিভিন্ন বাজারে এবং ম্যাজিস্ট্রেট কাজি তাহমিনা শারমিন হালিশহর, পাহাড়তলী আকবরশাহ এলাকায় অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রয় ও দোকানে পণ্যের মূল্য তালিকা টাঙানো হয়েছে কীনা যাচাই করেন।

অভিযানকালে প্রত্যেক এলাকায় সেনাবাহিনীকে সাথে নিয়ে বিদেশফেরৎ লোকজনকে শনাক্ত করে কোয়ারেন্টাইনে থাকার ব্যাপারে উৎসাহ প্রদান করা হয়।

এ ব্যাপারে সুজন চন্দ্র রায় বলেন, আমরা প্রতিদিন বাজারে অতিরিক্ত মূল্য ও তালিকা টাঙানো আছে কিনা যাচাই করছি। বেশিরভাগ ব্যবসায়ী আইন মেনে চললেও হাতেগোনা কয়েকজন অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রয়ের চেষ্টা করছেন। আজকের অভিযানে মোট ২৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সিএম/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!