চট্টগ্রামে বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন, দুজনই ছাত্রলীগের

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ছাত্রলীগের এক কর্মী খুন হয়েছেন তারই বন্ধুর হাতে। ১৮ বছর বয়সী ওই তরুণের নাম আশরাফ উদ্দীন চৌধুরী।

শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে আনোয়ারা উপজেলা সদরের মা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে এই ঘটনা ঘটেছে।

খুনের এ ঘটনায় সন্দেহভাজন নয়ন সরকারও ছাত্রলীগের কর্মী। তিনি আনোয়ারার সিংহরা গ্রামের বাসিন্দা এবং দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের ছাত্র বিষয়ক উপ সম্পাদক। তিনি আশরাফের বন্ধু ছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

জানা গেছে, ছাত্রলীগের স্থানীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে আনোয়ারা উপজেলা সদরের মা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে কৌশলে ডেকে আনা হয় আশরাফকে। এ সময় সন্দেহভাজন নয়ন সরকার ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করেন আশরাফকে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানোর পর সেখানেই মৃত্যু ঘটে আশরাফের।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মিজানুর রহমান আসিফ জানান, ‘আশরাফ বন্ধুদের নিয়ে মা কমিউনিটি সেন্টার এলাকায় আড্ডা দিচ্ছিল। এসময় নয়ন সরকার, মহিউদ্দিন মানিক, মোহাম্মদ রাকিব, অংকন ও নিশান বড়ুয়ারা এসে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আশরাফকে মারধর করে। এরপর নয়ন সরকার ছুরি বের করে বাম পায়ে আঘাত করে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। আমরা আহত অবস্থায় উদ্ধার প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’

নিহত আশরাফের বাড়ি নোয়াখালীর সুবর্ণচর থানার চরফ্যাশন গ্রামে হলেও তিনি চট্টগ্রামের আনোয়ারা সদরের ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার নানা বাড়িও আনোয়ারার বারখাইন ইউনিয়নের বাদমতল এলাকায়। তার বাবার নাম মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আর মায়ের নাম অংকুর।

নিহত আশরাফ পূর্ব বাকলিয়ার দিলোয়ারা জাহান মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। আনোয়ারা ফুটবল একাডেমির গোলকিপার হিসেবেও খেলতেন তিনি।

এদিকে আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম দিদারুল ইসলাম জানান, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের আধিপত্যকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের এক কর্মী খুন হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!