চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু ও শেখ মনি হত্যার প্রথম প্রতিবাদ করেছিলেন মৌলভী সৈয়দ

যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে শেখ সেলিম

বঙ্গবন্ধু ও শেখ ফজলুল হক মনিকে হত্যার পর চট্টগ্রামে প্রথম প্রতিবাদ করে যুবলীগ সভাপতি মৌলভী সৈয়দ সেনাশাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।

সোমবার (৩০ মে) চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও মনি ভাইকে হত্যা করার পর এই যুবলীগ প্রথম রুখে দাঁড়িছে। এই চট্টগ্রামের মৌলভী সৈয়দ ও বগুড়ার খসরু, এরা ওই হত্যার প্রতিশোধ নিতে গিয়ে নিজেদের জীবন বিসর্জন দিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘ছয় দফা নিয়ে চট্টগ্রামে প্রথম সভা করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিন বছরের মধ্যে এশিয়া মহাদেশে সর্বশ্রেষ্ঠ সংগঠনে পরিণত হলো এ সংগঠন। বঙ্গবন্ধু ভোগের রাজনীতি করতেন না, ত্যাগের রাজনীতি করেছেন। শেখ মনিও ত্যাগের রাজনীতি করেছেন। আপনারা যারা পদ নিবেন লোভের আশায় নিবেন না। বঙ্গবন্ধুকে যেমনি আমরা হারিয়েছি তেমনি এমন একজন নেতা শেখ ফজলুল হক মনিকেও হারিয়েছি।’

শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু নিজের জীবন বাজি রেখে দেশ স্বাধীন করেছেন শুধু দেশের মানুষের জন্য। আপনারা যারা যুবলীগ করতে চান আপনাদের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে হবে। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে জনগণের যেমন সম্পর্ক ছিল-ঠিক তেমনই। সবসময় যে কোনো বিপদে জনগণের পাশে এসে দাঁড়াতে হবে। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া যুবলীগ করতে হলে আপনাদের জনগণের সঙ্গী হতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘শ্রীলঙ্কায় দুর্ভিক্ষ হয়েছে। আমরা কখনও শ্রীলঙ্কার মতো হবো না। যতদিন জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকবেন ততদিন জনগণ কষ্টে থাকবে না। আওয়ামী লীগ ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে। দেশে করোনার মহামারী হয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে। তারপরও দেশ সুন্দরভাবে চলছে জননেত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে। বিশ্বে তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশেও পেয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনা এ তেলের দাম জনগণের নাগালের মধ্যে রেখেছেন। শেখ হাসিনা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘পদ্মা সেতু নিয়ে খালেদা জিয়া বললো জোড়াতালি দিয়ে করা হচ্ছে। দেশের উন্নয়ন ঠেকাতে ষড়যন্ত্র করেছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমস্ত কিছুকে পেছনে ফেলে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু তৈরি করেছেন। এ পদ্মা সেতু চালু হলে দেশের অর্থনীতি বৃদ্ধি পাবে, কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। দেশে উন্নয়ন হয়েছে, যা দেশের মানুষ চোখে দেখছে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে। আমেরিকা-কানাডায় যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও সেভাবে নির্বাচন হয়। শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশ কখনও পিছিয়ে পড়বে না। বরং সামনে এগিয়ে যাবে।’

বিএনপি-জামায়াত কখনও গণতান্ত্রিক দল হতে পারে না-মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘যাদের নেতা যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযম, দেলোয়ার হোসেন সাঈদী; তাদের উত্তরসূরীরা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করতে চায়। কিন্তু তাদের সে স্বপ্ন কখনোই বাস্তবায়ন হবে না। নির্বাচনের মাধ্যমেই সরকার নির্বাচিত হবে। স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্রের যদি কেউ সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে থাকে সে হলো জিয়াউর রহমান। জিয়া ছিল পাকিস্তানি। তার মা-বাবার কবর পাকিস্তানে। তার জন্মই পাকিস্তানে। সে-ই সবচেয়ে বেশি দেশের ক্ষতি করেছে।’

আরএম/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!