চট্টগ্রামে বউকে খুন করতে গোপনে দেশে আসেন স্বামী, জবানবন্দি আদালতে

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে গৃহবধূ লাকী আক্তার (২৬) হত্যামামলায় তার স্বামী আবদুল মান্নান (৪৫) খুনের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

রোববার (২৬ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন নাহার রুমির আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। এর আগে গত শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) গভীর রাতে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে আবদুল মান্নানকে গ্রেপ্তার করে সীতাকুন্ড থানার পুলিশ।

আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে আবদুল মান্নান জানান, লাকীর সঙ্গে তার ছিল দ্বিতীয় বিয়ে। বিভিন্ন কারণে বনিবনা না হওয়ায় লাকী আক্তারকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। সে উদ্দেশ্যে কাউকে না জানিয়ে গত ৬ ডিসেম্বর দেশে এসে ঢাকায় অবস্থান করেন। পরে ৮ ডিসেম্বর রাত ৩টার দিকে স্ত্রীকে হত্যা করে পালিয়ে যান।

গত ৯ ডিসেম্বর সীতাকুণ্ড পৌর সদরের একটি ভাড়া বাসা থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় লাকি আক্তার (৩২) নামের ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই নারীর লাশ খাটের ওপর শোয়ানো অবস্থায় ছিল। লাশের গায়ে কম্বল ও গলায় ওড়না পেঁচানো ছিল।

লাকি আক্তার উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা সৌদি আরবপ্রবাসী আবদুল মান্নানের দ্বিতীয় স্ত্রী। লাকির স্বজনদের অভিযোগ, মান্নান কয়েক দিন আগে সৌদি আরব থেকে দেশে এসেছেন। পরে ৮ ডিসেম্বর তিনি স্ত্রী লাকি আক্তারের বাসায় এসে তাকে খুন করে পালিয়ে যান।

লাকির স্বজনরা বলেন, লাকির স্বামী মান্নান তার প্রথম স্ত্রীকে রাখেন মুরাদপুরের বাড়িতে আর লাকিকে রাখেন পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের একটি ভাড়া বাসায়। তাদের বাড়ি মিরসরাই উপজেলায়। মান্নান সৌদি আরব থেকে খুনের তিন-চার দিন আগে দেশে ফিরে কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। এরপর ৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় তিনি লাকির বাসায় যান। ওইদিন রাত তিনটার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় শ্বাসরোধে লাকীকে খুন করেন তিনি।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!