চট্টগ্রামে ফুরিয়ে গেল করোনা পরীক্ষার কিট

একটি উপাদানের অভাবে কাজে আসছে না ৯৫০ কিট

চট্টগ্রামে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার একমাত্র পরীক্ষাগারে করোনা পরীক্ষার কিট ফুরিয়ে গেছে। নতুন করে মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) ৯৫০টি কিট পাঠানো হলেও সেগুলোতে নেই আবার একটি উপাদান। ফলে এই কিটগুলোও কাজে আসছে না আপাতত।

চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা হচ্ছে শুধুমাত্র সীতাকুণ্ডের বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি)। সেখানকার ল্যাব প্রধান ডা. শাকিল আহমেদ জানিয়েছেন, ওই ৯৫০টি কিটে এক্সটেনশন ফ্লুইড নামের একটি জরুরি উপাদান না থাকায় ওসব ব্যবহার করে করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করা সম্ভব নয়।

তবে বিআইটিআইডি ল্যাবে নিজেদের কিছু এক্সটেনশন ফ্লুইড থাকায় সেগুলো ব্যবহার করে আরও কিছু পরীক্ষা করা যাবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে এই সংখ্যা ১০০ এর আশেপাশেই হবে বলে জানান তিনি। কিন্তু এরপর কী হবে?

৯৫০ কিটের এক্সটেনশন ফ্লুইড আনার কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে কিনা— এই প্রশ্নের জবাবে পাওয়া গেল ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য।

চট্টগ্রামের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেছেন, ‘আমরা ওই উপাদানের জন্য বলে দিয়েছি। এগুলো চলে আসবে। কিটের জন্য কোন সমস্যা হবে না।’

রাত ১১ টা নাগাদ চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. ফজলে রাব্বিও বলেছেন, ‘কিট নিয়ে দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই। যে উপাদানটি আসেনি বলা হচ্ছে এটি কাল সকালেই পাঠানো হবে। কালকেই এটি চট্টগ্রাম পৌছে যাবে।’

ঢাকায় ওই উপাদান আছে কিনা কিংবা ভুলে সেই উপাদান আসলো না কিনা— এমন প্রশ্নের জবাবে বিআইটিআইডির ল্যাব প্রধান ডা. শাকিল আহমেদ খানিকটা ক্ষোভের সাথেই জবাব দেন, ‘ওখানেও নাই। কোনখানে কিছু নাই। সবাই মিথ্যা কথা বলছে। যা বলতেছে প্রস্তুতি— এগুলো মুখে মুখে।’

প্রসঙ্গত চট্টগ্রামের করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্বাস্থ্য বিভাগের প্রশাসনিক দায়িত্বে যারা রয়েছেন, তারা করোনা মোকাবেলার প্রস্তুতি নিয়ে সন্তোষের কথা বললেও বাস্তবে এই চিত্র অনেকাংশেই উল্টো। কিট নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনা চলছিল। এর আগে কিট ফুরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে চট্টগ্রাম প্রতিদিনে প্রতিবেদনও প্রকাশ করা হয়েছিল। সে সময়ে স্বাস্থ্য বিভাগের তরফ থেকে বলা হয়েছিল কিটের জন্য পরীক্ষা থেমে যাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। এই পরিস্থিতিতে অসম্পূর্ণ উপাদানের কিট আসার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যাও পাওয়া যায়নি কারও কাছে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!