চট্টগ্রামে পুলিশের অ্যাপে মিললো সিএনজিতে হারানো ব্যাগ

চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোশারফ হোসেন প্রতিদিনের মতো অফিসের কাজ শেষে করে ফিরছিলেন বাসায়। যাওয়ার পথে শিক্ষাবোর্ডের মূল্যবান নথি, দাপ্তরিক ৪টি ফাইল, ব্যাংকের চেক বইসহ নগদ ২ লাখ ৩৬ হাজার টাকা ভর্তি একটি ব্যাগ সিএনজি অটোরিকশাতে রেখে নেমে যান। পরে যখন টাকা ও নথির কথা মনে পড়ছে ততক্ষণে ঘটনাস্থল থেকে চলে গেছে অটোরিকশা।

পরে মোশাররফ হোসেন পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন বায়েজিদ থানায়। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই প্রযুক্তির সহায়তায় সোমবার (১৮ এপ্রিল) হারিয়ে যাওয়া ব্যাগ উদ্ধার করে বায়োজিদ বোস্তামি থানা পুলিশ।

ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ও ‘আমার গাড়ি নিরাপদ’ অ্যাপের সাহায্যে সেই ব্যাগ উদ্ধার করে বায়োজিদ থানা পুলিশ। এক্ষেত্রে পরিবহন সেক্টরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিএমপির উদ্যোগে করা ‘আমার গাড়ি নিরাপদ’ অ্যাপটি তাদের এই কাজ সহজ করে দিয়েছে বলে জানান উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা।

বায়োজিদ বোস্তামি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোশারফ হোসেন গত ১৭ এপ্রিল একটি মেট্রো সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া করেন। বালুছড়াগামী রাস্তার দিকে জামান হোটেলের সামনে টাকা, ফাইল ও চেক বই অটোরিকশায় রেখে তিনি নেমে গেলে গাড়িটি ব্যাগ নিয়ে দ্রুত চলে যায়। পরে তিনি থানায় বিষয়টি জানালে আমরা তদন্তে নামি।’

কীভাবে ব্যাগটি উদ্ধার করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে কামরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে এই ব্যাগ উদ্ধার করেছি। প্রথমে ঘটনাস্থলের আশপাশের ১৭টি সিসিটিভি ফুটেজ আমরা পর্যালোচনা করে গাড়িটি শনাক্ত করি। পরে গাড়ির নম্বর শনাক্ত করে অ্যাপের মাধ্যমে গাড়ির মালিকের সন্ধান পাই। এরপর মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনিও আমাদের সহযোগিতা করেন।’

কামরুজ্জামান আরও বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনাগুলোতে আগে গাড়ি শনাক্ত করা গেলেও অনেক সময় বিটিআরসি থেকে মালিকের পরিচয় বের করা কঠিন ছিল। বের করা গেলে দেখা যেত মালিকানা পরিবর্তন হয়েছে। প্রক্রিয়াটা জটিল ছিল। কিন্তু অ্যাপে গাড়ির সকল ডাটাবেজ যুক্ত করায় এই ঘটনায় ভোগান্তি পোহাতে হয়নি আমাদের। এই কারণেই দ্রুত এই ঘটনা ডিটেক্ট করা গেছে।’

এআরটি/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!