জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রামের পটিয়া, আনোয়ারা, কর্ণফুলী, বাঁশখালী, রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালী উপজেলায় দ্বিতীয় ধাপে ২৮২ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পেয়েছে পাকা ঘর।
রোববার (২০ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় দ্বিতীয় ধাপে ২৮২ ভূমিহীন ও গৃহহীন পেয়েছে এসব পাকা ঘর। সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন হতে ভার্চুয়ালি সারাদেশের প্রায় সাড়ে ৫৩ হাজার অসহায় গৃহহীন মানুষের মাঝে মুজিব বর্ষের পাকাঘর উপহার প্রধান অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন। এ বিষয়ে পটিয়া, আনোয়ারা, বাঁশখালী, রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালী উপজেলা প্রতিনিধি তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
‘আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’ এই স্লোগান নিয়ে প্রধানমন্ত্রী অগ্রাধিকার আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় যাদের জমি নেই, ঘর নেই তাদের পুনর্বাসনের জন্য সরকারি খাস জমিতে এসব ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ঘরগুলোর নির্মাণ কাজ হয়েছে।
চট্টগ্রামের দ্বিতীয় দফায় নতুন ঘর পাওয়া ২৮২ পরিবারের মধ্যে পটিয়ায় ১১৫, আনোয়ারা ২৫, কর্ণফুলী ৫, বাঁশখালী ১৬০, রাঙ্গুনিয়া ৫০ ও বোয়ালখালী উপজেলায় ৪৭ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার।
মুজিব বর্ষে কেউ গৃহ ও ভূমিহীন থাকবে না’- বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই ঘোষণা বাস্তবায়নে প্রথম পর্যায়ে গত ২৩ জানুয়ারি সারাদেশে ৬৯ হাজার ৯০৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ পাকা ঘর প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। ওই সময় চট্টগ্রামের ৫ উপজেলায় ২৮২ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর প্রদান করা হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে আজ সারাদেশে ৫৩ হাজার ৩৪০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে দুই শতাংশ জমিসহ ঘর প্রদান করা হচ্ছে।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসনের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা জানান, প্রধানমন্ত্রীর অনন্য এই উদ্যোগে ইতোমধ্যে বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি এগিয়ে এসেছেন। চট্টগ্রামের বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো প্রধানমন্ত্রীর আশ্রায়ণ প্রকল্পে আর্থিক অনুদান প্রদান করেছে। যা দিয়ে ভূমিহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
দুই কক্ষ বিশিষ্ট প্রতিটি আধা পাকা ঘরের নির্মাণ ব্যায় এক লাখ ৯০ হজার টাকা। সবগুলো ঘর একই নকাশায় হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে উপজেলার সব ভূমি ও গৃহহীনদের এ কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে জানা গেছে।
এসএ