চট্টগ্রামে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে মামলার আর্জি যুবলীগ নেতার

চট্টগ্রামে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট কারচুপির অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করেছেন এক যুবলীগ নেতা। বুধবার (১০ আগস্ট) চট্টগ্রামের প্রথম সিনিয়র সহকারী জজ ইছরাত জাহান নাসরিনের আদালতে এ আবেদন করেন তিনি।

মামলার বাদী নাছির উদ্দিন হাটহাজারী উপজেলা যুবলীগের সদস্য ও ফরহাদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন।

মামলায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, ফরহাদাবা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান শওকতুল আলম শওকত সহ ২৩ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট হাসান আলী চৌধুরী বলেন, ‘৯ম ধাপে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর চেয়ে বেশি ভোট পাওয়া সত্ত্বেও নির্বাচন কর্মকর্তার অন্যায় আবদার না রাখায় ইভিএমের মাধ্যমে ভুল ফলাফল প্রদর্শন করে বাদীকে পরাজিত ঘোষণা করা হয়েছে। এই ঘটনায় বাদী পুনঃনির্বাচন ও ভোট পুনঃনীরক্ষণের আবেদন করলেও তা গ্রাহ্য না করে ৮ জুলাই নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করে গেজেট প্রকাশ করা হয়। অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার না পেয়ে বিবাদীদের বিরুদ্ধে এই মামলার আবেদন করেন নাছির উদ্দিন।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আদালতে আবেদন করেছি। আজকেই আদালত মামলাটি গ্রহণ করে আদেশ দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেয়নি। আগামীকাল দেবেন বলে আশা করছি।’

মামলার বাদী যুবলীগ নেতা নাছির উদ্দিন বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে প্রতিটি ওয়ার্ডে অন্তত ৪০০ জন কর্মী আছে আমার। এর মধ্যে ১০০ জন যদি ভোট নাও দেয় আমার অন্তত ৩০০ ভোট হয়৷ কিন্তু ওরা ইভিএমে দেখিয়েছে একেকটি ওয়ার্ডে আমি ভোট পেয়েছি ১২০-১৫০। তাহলে আমার বাকি ভোটগুলো গেল কই? ভোটে সংখ্যাগত যে অসঙ্গতি আছে, সেসব আমি মামলার আবেদনে তুলে ধরেছি।’

গত ১৫ জুন নবম ধাপে চট্টগ্রামের ৬টি উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এরমধ্যে ৯ ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী, ৪ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এবং ৫ ইউনিয়নে স্বতন্ত্র ও বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীরা বিজয়ী হন।

আইএমই/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!