চট্টগ্রামে নালায় পড়ে মৃত্যু—কারণ খুঁজে বের করতে কমিটি গঠন

বৃষ্টির সময় সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় নগরের বিভিন্ন সড়কের পাশে খোলা নালা ও খালে পড়ে একের পর এক প্রাণহানির ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। নির্দেশনা অনুযায়ী চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে প্রধান করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার।

কমিটিতে থাকা বাকি ৬ সদস্য হলেন, সিএমপি কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি, সিডিএ সচিব, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী এবং চট্টগ্রাম শহরে জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক।

এছাড়া তদন্তের প্রয়োজনে আরও দুজন সদস্যকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে এই তদন্ত কমিটির প্রধানকে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল সার্জনের উপ পরিচালককে এই কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছেন কমিটির প্রধান অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

প্রাথমিকভাবে তদন্ত কমিটির সদস্যদের নিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) বৈঠক করে পরবর্তীতে সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হবে বলেও জানিয়েছে তিনি।

চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘শুরুতে আমরা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের সাথে বসতে চাই। এরপর আমরা ঘটনাস্থলগুলো পরিদর্শন করবো। এসব ঘটনায় নিহত হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সাথে কথা বলে তাদের বক্তব্যও নিব।’

এক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিষয়ে এই কমিটি কোন সুপারিশ করবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমাদেরকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এসব ঘটনায় কার কি দায় সেটা বের করতে। তবে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর জবানবন্দি যেহেতু আমরা নিব সেহেতু তাদের বক্তব্যে এমন কিছু এলে সেটা আমরা প্রতিবেদনে উল্লেখ করবো’।

প্রসঙ্গত গত ২৭ সেপ্টেম্বর নগরের আগ্রাবাদ মাজার গেইট এলাকায় ফুটপাত থেকে পা পিছলে নালায় পড়ে মৃত্যু হয় আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী শেহেরীন মাহমুদ সাদিয়ার (১৯)। এর আগে ২৫ আগস্ট মুরাদপুর এলাকায় নালায় পা পিছলে পড়ে ডুবে যান সবজি বিক্রেতা সালেহ আহমেদ। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তার সন্ধান মেলেনি। গত ৩০ জুন মেয়র গলি এলাকায় চশমা খালে অটোরিকশা পড়ে গেলে চালক ও এক যাত্রী মৃত্যুবরণ করেন।

এসব ঘটনার পর ঘটনাস্থলে রশি টেনে বা বাঁশ দিয়ে সাময়িক নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করে কর্তৃপক্ষ। এসব ঘটনায় সিডিএ সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বশীলদের গা ছাড়া ভাব, পরষ্পরকে দোষারোপ ও নাগরিকদের চরম ক্ষোভের মধ্যেই এমন তদন্তের সিদ্ধান্ত এলো।

এআরটি/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!