চট্টগ্রামে নমুনা পরীক্ষা বাড়তেই আবারও একশর বেশি শনাক্ত, সুস্থতাও বেড়ে ১২০

চট্টগ্রামে ঈদের ছুটি কাটিয়ে করোনার নমুনা পরীক্ষার ল্যাবগুলো সচল হতেই আবারও লাফিয়ে বাড়লো শনাক্তের সংখ্যা। সরকারি-বেসরকারি সাতটি ল্যাবের মধ্যে গত কয়েকদিন মাত্র দুটি ল্যাবে একশর আশেপাশে থাকা নমুনা পরীক্ষা গত ২৪ ঘণ্টায় বেড়ে দাঁড়ায় ৬৮০-তে। তাতে শনাক্তও বেড়ে দাঁড়ায় একশর উপরে—১১৯ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সাতটি ল্যাবের মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাব ও শেভরণ ল্যাব ছাড়া বাকি পাঁচটি ল্যাবে করানো করোনা পরীক্ষায় শনাক্ত ১১৯ জন নিয়ে চট্টগ্রামে করোনা শনাক্ত গিয়ে দাঁড়ালো ১৪ হাজার ৬২৫ জনে। একই সময়ে চট্টগ্রামে উপজেলায় দুজন মারা যাওয়ায় করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা এখন ২৩৬ জন, যাদের ১৬৩ জন নগরের ও ৭৩ জন উপজেলার। অন্যদিকে, নতুনভাবে করোনাজয় করেছেন রেকর্ড ১২০ জন। তাতে করে, এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৭১৫ জন করোনা রোগী।

বুধবার (৫ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, চট্টগ্রামের সরকারি তিনটি ও বেসরকারি একটি ল্যাব এবং কক্সবাজারের একটি ল্যাব মিলে ৬৮০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১১৯ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তদের মধ্যে নগরের ৮৫ জন এবং উপজেলার ৩৪ জন। একইসাথে গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনা থেকে ১২০ জন সুস্থ হয়েছেন এবং গত ২৪ ঘণ্টায় একজন মারা গেছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের প্রধান করোনা পরীক্ষাগার ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি)-তে বিদেশগামীদের বাধ্যতামূলক করানো করোনা টেস্টসহ দিনের সর্বাধিক ২১৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা করা হয়। তাতে শনাক্ত হয় মাত্র ১৩ জন। এর মধ্যে ১১ জন নগরের বাসিন্দা ও ২ জন উপজেলার।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটি (সিভাসু) ল্যাবে পাঁচদিন পর আবারও করানো হয় নমুনা পরীক্ষা। ১৩৯টি নমুনা পরীক্ষা করে করোনা পজিটিভ হন ৩৭ জন। যাদের ১৩ জন নগরের ও ২৪ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় ১২৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৩ জনের শরীরে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। যাদের মধ্যে নগরেরই ২০ জন, বাকি ৩ জন উপজেলা।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে এদিনও করোনার পরীক্ষা হয়নি।

বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ১৮৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে দিনের সর্বাধিক ৪৪ জনের দেহে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। যাদের ৪১ জনই নগরের এবং বাকি ৩ জন উপজেলার।

চট্টগ্রামের আরেকটি বেসরকারি পরীক্ষাগার শেভরণ ল্যাবে এদিনও কারও নমুনা পরীক্ষা হয়নি।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে উপজেলার ২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়।

উপজেলা পর্যায়ে নতুনভাবে করোনা শনাক্ত ৩৪ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয় ফটিকছড়ি উপজেলায়। সেখানে ৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। পার্শ্ববর্তী হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলায় শনাক্ত হয় ৮ জন করে। এছাড়া বাঁশখালীতে ৩ জন, মিরসরাইয়ে ২ জন এবং পটিয়া, রাঙ্গুনিয়া, সীতাকুণ্ড ও সন্দ্বীপে ১ জন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!