চট্টগ্রামে করোনার নমুনা পরীক্ষা কমে গত ২৪ ঘণ্টায় এসে দাঁড়িয়েছে ৪২৫-এ। স্বাভাবিকভাবেই তাতে করে কমে গেছে করোনা শনাক্তের সংখ্যাও। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মিলে সাত ল্যাবের মধ্যে চারটি ল্যাবের প্রাপ্ত পরীক্ষার ফল অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১০৫ জন। এদের মধ্যে নগরের ৬১ জন এবং চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার ৪৪ জন। এ নিয়ে চট্টগ্রামে করোনা রোগীর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ালো ১১ হাজার ৪৯০ জন। যাদের মধ্যে নগরেই আট হাজার পার হলো। নগরের আট ১৪ জনের বিপরীতে বিভিন্ন উপজেলা মিলিয়ে তিন হাজার ৪৭৬ জন। একই সময়ে করোনায় চট্টগ্রাম নগরে একজন ও উপজেলায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন মোট ২১৬ জন, যাদের মধ্যে ১৫৩ জন নগরের ও ৬৩ জন উপজেলার বাসিন্দা। ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন আরও ৩৭ জন। ফলে এখন পর্যন্ত একহাজার ৩৫৫ জন রোগী করোনাজয় করলেন।
রোববার (১১ জুলাই) সকালে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি এসব তথ্য জানান।
চট্টগ্রামের সরকারি চারটি ও বেসরকারি দুটি ল্যাব এবং কক্সবাজারের একটি ল্যাবের মধ্যে সিভাসু, ইম্পেরিয়াল ও কক্সবাজারের ল্যাবে কোন পরীক্ষা হয়েছে কিনা সেটি সিভিল সার্জনের দেয়া তথ্যে উল্লেখ ছিল না। ফলে ছয় ল্যাবের মধ্যে চার ল্যাব মিলিয়ে মোট ৪২৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় আরও ১০৫ জনের দেহে করোনাভাইরাস পজিটিভ পাওয়া গেছে। নতুন শনাক্তদের মধ্যে নগরের ৬১ জন এবং বিভিন্ন উপজেলার ৪৪ জন। একইসাথে চট্টগ্রামে সুস্থ হয়েছেন আরও ৩৭ জন এবং মারা গেছেন দুজন, যাদের একজন নগরের ও অন্যজন উপজেলার।
গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের প্রধান করোনা পরীক্ষাগার ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি)-তে দিনের সর্বোচ্চ ১১৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। আগের দিনের চেয়ে যা ১১১টি কম। সেখানে নতুন শনাক্ত হয় ২০ জন। এর মধ্যে ১৩ জন নগরের। বাকি ৪ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটি (সিভাসু) ল্যাবে করোনার নমুনা পরীক্ষা হওয়ার কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে দিনের দ্বিতীয় সর্বাধিক নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সেখানে ২৪ ঘণ্টায় মাত্র ৭৮টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৪ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়, যাদের ১০ জন নগরের ও ৪ জন উপজেলার।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে আগেরদিনের চেয়ে কিছুটা কম নমুনা পরীক্ষা করা হয়। মোট ১০২ জনের নমুনা পরীক্ষা করিয়ে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হন দিনের সর্বোচ্চ ৪৩ জন। যাদের ১৮ জন নগরের ও ২৫ জন বিভিন্ন উপজেলার।
অন্যদিকে, বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবেরও কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
গত ২৪ ঘণ্টায় শেভরণ ল্যাবে আগেরদিনের চেয়ে কম নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ১২৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে দিনের সর্বোচ্চ ২৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়। যাদের মধ্যে ২০ জন নগরের ও ৮ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
এদিন, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবেরও কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
উপজেলা পর্যায়ে নতুনভাবে করোনা শনাক্ত ৪৪ জনের মধ্যে আবারও সবচেয়ে বেশি রোগী পাওয়া গেছে হাটহাজারী উপজেলায়। সেখানে ২৫ জনের দেহে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। দিনের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ করোনা রোগীর খোঁজ মেলে মিরসরাইয়ে, ৬ জন। এছাড়া সন্দ্বীপ ও সীতাকুণ্ডে ৩ জন করে এবং সাতকানিয়া, আনোয়ারা, পটিয়া, বোয়ালখালী, রাঙ্গুনিয়া, রাউজান ও ফটিকছড়িতে ১ জন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এমএহক