চট্টগ্রামে দুটিসহ ৪০ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে বছরে বেরোবে ৪১ হাজার কর্মী

চট্টগ্রামের দুই উপজেলাসহ সারা দেশে চালু হতে যাচ্ছে ৪০টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এসব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধন করবেন। এর মধ্যে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ ও রাউজান উপজেলায় রয়েছে দুটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।

বৈদেশিক শ্রম বাজারের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষতা উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বেকার যুবকদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা, দক্ষ জনশক্তি সরবরাহের মাধ্যমে শিল্পখাতে উৎপাদন বৃদ্ধি এবং সারা দেশে কারিগরি প্রশিক্ষণের সুযোগ এবং কাজের ক্ষেত্র সম্প্রসারণ প্রভৃতি লক্ষ্য নিয়ে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো দেশের ৪০টি উপজেলায় ৪০টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ করেছে। ‘৪০টি উপজেলায় ৪০টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও চট্টগ্রামে একটি ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এসব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়।

জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো ১০টি ট্রেডে প্রতিবছর ৪০ হাজার ৯৬০ জন কর্মীকে প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষ্যে উপজেলা পর্যায়ে এসব উপজেলা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করে।

সব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রেই দেড় একর জমিতে একাডেমিক ভবন, প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য ডরমেটরি, শিক্ষক কোয়ার্টার, ছাত্রছাত্রীদের গাড়ি পার্কিং গ্যারেজ, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, সাব-স্টেশন এবং জেনারেটর ও পাম্প হাউজ নির্মাণ করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এসব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধনকালে ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন থেকে সংযুক্ত থাকবেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। অন্যদিকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষ থেকে সংযুক্ত থাকবেন জেলা প্রশাসক, স্থানীয় সংসদ সদস্য, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।

কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো চালু হলে সারা বছর ১০৪ টিটিসি ও ৭ টি আইএমটি বছরে ৯ লাখ মানুষকে প্রশিক্ষণ দিতে পারবে। ফলশ্রুতিতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জন্য নির্ধারিত এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা ১০.৭ এর আওতায় কম খরচে অভিবাসন নিশ্চিত করা যাবে এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থানে দক্ষ কর্মী প্রেরণ শতকরা ৫০ ভাগে উন্নীত হবে। এতে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, দারিদ্র বিমোচনসহ দেশের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, দ্বিতীয় পর্যায়ে মুজিববর্ষ উপলক্ষে সরকার আরও ১০০টি উপজেলায় কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত ডিপিপি প্রণয়ন করছে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!