চট্টগ্রামে দুই দিনের সফরে রাষ্ট্রপতি, ১৪৭৩ সদস্যের নিরাপত্তায় বলয়

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) চতুর্থ সমাবর্তনে যোগ দিতে দুই দিনের সফরে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ চট্টগ্রামে এসে পৌঁছেছেন।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে হেলিকপ্টারযোগে রাষ্ট্রপতি চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে এসে পৌঁছান। এরপর সেখানে থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে নিয়ে যাওয়া হয়। রাষ্ট্রপতি সার্কিট হাউসেই রাত্রিযাপন করবেন। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে চুয়েটের ৪র্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সড়কপথে চট্টগ্রাম জেলার রাউজানে যাবেন তিনি।

রাষ্ট্রপতির চট্টগ্রাম আগমন উপলক্ষে নগরীর কাজির দেউড়ি এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পুরো নগরজুড়েই সর্তক অবস্থায় রাখা হয়েছে পুলিশকে। এছাড়া রাউজান ও হাটহাজারী উপজেলায় ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সমাবর্তনস্থল চুয়েটে ৬ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রামে রাষ্ট্রপতির আগমনে বিশেষ নজরদারিতে থাকবে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার সব স্থাপনা। কঠোর নিরাপত্তায় মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১ হাজার ৪৭৩ সদস্য।

এসব তথ্য জানিয়েছেন চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ ছাড়াও বিভিন্ন জেলা ও ইউনিট থেকে আনা পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে ৬ স্তরের নিরাপত্তা বলয়। নিরাপত্তা নিশ্চিতে ইউনিফর্মধারী ও সাদা পোশাকের মোট ১ হাজার ৪৭৩ জন অফিসার-ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।

এছাড়া সমাবর্তন এলাকা ও যাতায়াত রাস্তা নিরাপত্তা ব্যবস্থা, রুফটপ ডিউটি, পিকেট ডিউটি, মোবাইল ডিউটি, চেকপোস্ট ডিউটি, স্ট্রাইকিং ফোর্স, ডিবি টিম, ডিএসবি টিম, এপিবিএন ছাড়াও র্যা ব সদস্য মোতায়েন থাকবে। রাষ্ট্রপতির অবস্থান ও যাতায়াতকালে বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত থাকবে।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ৪র্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সনদ বিতরণ করবেন। ডিগ্রি পাবেন ২ হাজার ২৩১ শিক্ষার্থী এবং সর্বোচ্চ সিজিপিএ পাওয়া ৪ শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে ‘বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণপদক’।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন রাষ্ট্রপতি এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ।

সমাবর্তনের প্রচার ও মিডিয়া উপ-কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. আসিফুল হক জানিয়েছেন, চতুর্থ এ সমাবর্তনে বক্তা হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী, বিশেষ অতিথি থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত ৪ শিক্ষার্থী হলেন- ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ইএমকে ইকবাল আহমেদ, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের রুবায়া আফসার, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের সঞ্চয় বড়ুয়া ও ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের মো. রাশেদুর রহমান।

২০১২ সালের ১০ অক্টোবর থেকে ২০১৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনকারী শিক্ষার্থীরা সমাবর্তনে অংশ নেবেন। এছাড়া দেশি-বিদেশি অতিথি ও সংসদ সদস্যসহ প্রায় ৩ হাজার অতিথি উপস্থিত থাকবেন। সমাবর্তনে ডিগ্রি পাওয়া ২ হাজার ২৩১ জনের মধ্যে স্নাতক রয়েছেন ২ হাজার ১৪৮ জন, মাস্টার্স বা স্নাতকোত্তর ৭৯ জন, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ২ জন ও পিএইচডি ২ জন।

এডি/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!