চট্টগ্রামে তুরস্কের সাংস্কৃতিক দলের সুফি সংগীতে মুগ্ধ দর্শক

চট্টগ্রামে তুরস্কের সাংস্কৃতিক দল পরিবেশন করেছে সুফি সংগীত ‘ঘূর্ণায়মান দরবেশ’। পাশ্চাত্যের এ সংস্কৃতি মন জুগিয়েছে চট্টগ্রামের দর্শকদেরও। ‘মুজিববর্ষ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন’ উপলক্ষে নগরীর জাকির হোসেন রোডস্থ ‘খুলশী কনভেনশন হলে’ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

রিপাবলিক অব তুর্কি’র বাংলাদেশ দূতাবাস, তুর্কি অনারারী কনসাল জেনারেল অব চিটাগাং এবং শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক) ট্রাস্ট-এর যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

সেমিনারের বিষয় ছিল মাওলানা রুমীর প্রদর্শিত পথই টেকসই শান্তির পথপ্রদর্শক। সেমিনারে আলোচকগণ বলেন, ‘মানবতাবাদী কবি মাওলানার রুমীর কন্ঠে অনুরণিত হয়েছে মানুষের জয়গান। তিনি সত্যিকার ইসলামী দর্শন সুফীবাদকে প্রতিষ্ঠতা করতে সক্ষম হয়েছেন।’

চট্টগ্রামে তুরস্কের সাংস্কৃতিক দলের সুফি সংগীতে মুগ্ধ দর্শক 1
বক্তব্য রাখছেন রিপাবলিক অব তুর্কি’র বাংলাদেশ অ্যাম্বেসির অ্যাম্বাসেডর এইচ ই মোস্তফা ওসমান তুরান

বক্তারা বলেন, ‘তাঁর মাসনভী হয়ে উঠে মানুষের অন্ধকার রজনীর আলোকবর্তিকা; পথহারা মানুষের পদপ্রর্দশক। দুনিয়ার শৌর্যবীর্য পরিহার করে মহান আল্লাহ তাআলার প্রতি অকৃত্রিম মুহাব্বতের চর্চা করেছেন মাওলানা রুমী। অধ্যাত্মবাদের প্রাণকেন্দ্র মাইজভাণ্ডার দরবারেও সেই মানবতাবাদের পতাকা উড্ডীন রয়েছে।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, রিপাবলিক অব তুর্কি’র বাংলাদেশ অ্যাম্বেসির অ্যাম্বাসেডর এইচ ই মোস্তফা ওসমান তুরান। সভাপতিত্ব করেন মাইজভাণ্ডার শরিফ গাউসিয়া হক মনজিলের সাজ্জাদানশীন ও শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক) ট্রাস্টের ম্যানেজিং ট্রাস্টি আওলাদে রাসূল হযরত শাহ্ সুফি সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারী (মজিআ)।

চট্টগ্রামে তুরস্কের সাংস্কৃতিক দলের সুফি সংগীতে মুগ্ধ দর্শক 2
বক্তব্য রাখছেন শাহ্ সুফি সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারী

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির মুক্তির দিশারী। তার অসামান্য নেতৃত্ব, দূরদর্শীতা ও সুমহান ত্যাগের কারণে আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে বঙ্গবন্ধুর প্রতি অশেষ শ্রদ্ধা জানাই।

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন তুরস্কের অনারারী কনসাল জেনারেল অব চিটাগাং সালাউদ্দিন কাসেম খান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মাওলানা মোহাম্মদ জাফর উল্লাহ্। প্রবন্ধের উপর আলোচনায় অংশ নেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।

তুরস্কের সাংস্কৃতিক দলের সুফি সংগীতের পর মাইজভাণ্ডারী মরমী গোষ্ঠীর সদস্য হান্নান হোসাইনী, আহমদ নুর আমিরী, নয়ন শীল ও সাজ্জাদ হোসাইন আরমান মাইজভাণ্ডারী গান পরিবেশন করেন।

দৈনিক পূর্বকোণ লিমিটেডের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন চৌধূরী অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ বক্তব্য রাখেন।

কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!