চট্টগ্রামে তরুণীকে আটকে রেখে দেহব্যবসা, চাকরির জন্য ঘুরছিল অসহায় মেয়েটি

ট্রিপল নাইনের ফোনে পুলিশের অভিযানে নারীসহ ধরা তিনজন

স্বামী ক্যান্সার আক্রান্ত, তাই বাধ্য হয়ে সংসার চালাতে চাকরির খোঁজ করছিলেন খাগড়াছড়ির স্বর্ণা (ছদ্মনাম, ২১)। স্বর্ণার সেই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তাকে চাকরি দেয়ার নাম করে চট্টগ্রাম এনে বায়োজিদ বোস্তামি থানার রৌফাবাদের একটি বাসায় আটকে রেখে দেহব্যবসা করাচ্ছিলেন সুরমা বেগম (৩৫) নামে আরেক নারী।

এতে অস্বীকৃতি জানালে স্বর্ণাকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করতো সুরমার দুই পুরুষ সহযোগী। ৭ জুলাই থেকে এমন দুঃস্বপ্নের দিন কাটছিল স্বর্ণার। ২২ জুলাই স্বর্ণার সাথে যুক্ত হয় আরও এক হতভাগ্য কিশোরী রত্না (ছন্দনাম, ১৪)।

পরে জরুরি সেবা ৯৯৯ ব্যবহার করে পুলিশের সহযোগিতায় এই চক্রের হাত থেকে মুক্তি মেলে তাদের। ভিকটিমদের কল পেয়ে রৌফাবাদের সোহাগের কলোনি থেকে ওই দুই নারীকে উদ্ধারের পাশাপাশি নারী পাচারকারী চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে বায়োজিদ বোস্তামি থানা পুলিশ।

শুক্রবার (২৩ জুলাই) রাতে বায়োজিদ বোস্তামি থানা পুলিশের হাতে আটক তিন নারী পাচারকারী হলেন সুরমা বেগম প্রকাশ সুমি (৩৫), তানজিল হোসেন (২২) ও এমরান হোসেন (২১)। বায়োজিদ বোস্তামি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদের মধ্যে সুরমা বেগম প্রকাশ সুমি কুমিল্লার নারায়নপুরের মৃত মো. মুসলিম উদ্দিনের মেয়ে। তানজিল হোসেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চরফকিরহাটের রফিকুল ইসলামের ছেলে এবং এমরান হোসেন একই উপজেলার চরকালার হেলালের ছেলে।

ওসি কামরুজ্জামান বলেন, ‘স্বর্ণার বাড়ি খাগড়াছড়ির মানিকছড়ির গাড়িটানা এলাকায়। তার স্বামী ক্যান্সার আক্রান্ত। স্বামী অসুস্থ থাকার সে চাকরির খোঁজ করছিল। তাকে চাকরির কথা বলে চট্টগ্রাম এনে জোর করে দেহব্যবসা করানো হচ্ছিল। কদিন পরে আরও এক কিশোরীকেও এভাবে এনে দেহব্যবসায় বাধ্য করে একই চক্রের সদস্যরা। পরে ভিকটিমরা কৌশলে ৯৯৯ এ কল দিলে আমরা তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করি এবং এই চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করি।’

ভিকটিমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ওসি কামরুজ্জামান।

এআরটি/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!