চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনীর ৩৪ বিগ্রেড ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের জরুরি রেসপনস টিম। অব্যাহত ভারী বর্ষণ আর অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে নগরীর নিম্নাঞ্চল ছাড়াও সব সড়ক উপ-সড়ক পানি থই থই করছে। সকাল ১১ টার পর থেকে পানির নিচে তলিয়ে যায় নগরীর অধিকাংশ এলাকা।
বন্ধ হয়ে যায় নগরীর যোগাযোগ ব্যবস্থা। অচল হয়ে পড়ে নগর জীবন। পানিবন্দি হয়ে ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েন নগরের বাসিন্দারা। এরকম পরিস্থিতে চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্পে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর ৩৪ বিগ্রেড ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সদস্যরা দ্রুত মাঠে নামেন। ৬৫ সদস্যের একটি জরুরী রেসপনস টিম ভাগ হয়ে নগরীর জলাবদ্ধতাপ্রবণ এলাকাগুলোতে কাজ শুরু করেন। নগরীর কাপাসগোলা, কাতালগঞ্জ, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, প্রবর্ত্তক মোড়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা কাজ করেন।
সেনাবাহিনীর এ সদস্যরা খাল ও নালায় বাঁশ নেট ও বিশেষ যন্ত্র দিয়ে আটকে থাকা ময়লা অপসারণ করেন। পাশাপাশি যেসব স্থানে ড্রেনের মুখ ও ঢাকনা আছে তা উন্মুক্ত করে দ্রুত পানি অপসারণের ব্যবস্থা করেন। যেসব খালে জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য দেওয়াল দেওয়া হয়েছিল সেই সব দেওয়ালের কিছু অংশও খুলে দেওয়া হয়। ফলে দ্রুত সময়ের মধ্যে পানি নামতে থাকে সড়ক থেকে।
জানা যায়, আজ শনিবার ভোর ৬টা থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত গত ৬ ঘণ্টায় ৮৫ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া সকালে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানি ও বৃষ্টির পানিতে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। জোয়ারের পানির পরিমাণ ছিল ৪ দশমিক ৬০ মিটার। যা স্বাভাবিকের চেয়ে অন্তত দুই মিটার বেশি। তবে সেনাবাহিনীর দ্রুত রেসপনস টিম মাঠে নামার কারণে তা কম সময়ের ব্যবধানে পানি অপসারণ হয়েছে বলে দাবি সেনাবাহিনীর।
জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল আবু সাদাত মোহাম্মদ তানভীর বলেন, ‘সকাল ১১ টা ৪৫ মিনিটে জলাবদ্ধতা প্রবণ প্রর্বত্তক মোড়ে এক হাটুু পানি ছিল। কিন্তু আমাদের রেসপনস টিম কাজ শুরুর পর ১২ টা ১৫ মিনিটে সড়ক থেকে সব পানি নেমে গেছে। এরকম মা ও শিশু হাসপাতাল থেকে শুরু করে সব জাগায় আমাদের সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছে।’ এছাড়া মেগা প্রকল্পের আওতায় খালে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদসহ অন্য কার্যক্রমও চলমান রয়েছে বলে জানান সেনাবাহিনীর এ কর্মকর্তা।
এডি/এমএএইচ