ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে মহেশখালীর এলএনজি টার্মিনাল বন্ধ হওয়ায় চট্টগ্রামে গ্যাসের সংকট দেখা দেওয়ার পরপরই একদিকে গ্যাস সিলিন্ডারের কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয়, অন্যদিকে সিলিন্ডার গ্যাস ও রাইস কুকারের কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে মানুষ।
সোমবার (১৫ মে) সকাল থেকে চট্টগ্রামের কোনো কোনো এলাকায় গ্যাসের সরবরাহ এলেও বেশিরভাগ এলাকায় এখনও গ্যাসের দেখা মেলেনি। কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই সংকট আরও কয়েকদিন চলবে।
এদিকে লাইনের গ্যাস না থাকায় মানুষ বাধ্য হয়ে সিলিন্ডার গ্যাস ও রাইস কুকার কিনছে। এই সুযোগে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট গ্যাস সিলিন্ডারের কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে। ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে রাইস কুকার, ইনডাকশন চুলা ও ইনফ্রারেড চুলার।
অভিযোগ পেয়ে সোমবার (১৫ মে) সকাল ১১টায় অভিযানে নামে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
অভিযানে নগরীর লাভ লেনের হাবিব ট্রেডার্সে ১০ হাজার টাকা, এনায়েত বাজার মোড়ে জেএস ট্রেডিংকে ২০ হাজার টাকা এবং আরিফ ট্রেডার্সকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এরপর নগরীর গোলাম রসুল মার্কেটে ইনডাকশন চুলা ও রাইস কুকারের দাম বেশি রাখায় দুটি দোকানকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং মার্কেট কমিটিসহ সকল দোকানদারকে সতর্ক করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, দাম নিয়ে কারসাজির দায়ে ৫ দোকানদারকে ৪১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এর আগে রোববার (১৪ মে) রাতের অভিযানে একই অভিযোগে নগরীর বিভিন্ন এলাকার ৬ দোকানদারকে ৪৮ হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী মাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত।
আরএম