দীর্ঘদিন ধরে খাল খনন না করায় ভরাট হয়ে গেছে কর্ণফুলী থেকে কোরিয়ান ইপিজেড থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের খালটি। গাছপালা আর ঝোপঝাড়ে ছেয়ে গেছে খালের দুই পাড়ের বেশিরভাগ অংশ। বিচ্ছিন্নভাবে দখলে নিয়ে কাঁচাবাজার ও দোকানপাটসহ নির্মাণ করা হয়েছে একটি মার্কেটও। এসব অভিযোগ অনুসন্ধানে গিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি টিম খাল দখল করে অবৈধ স্থাপনার অস্তিত্ব ছাড়াও একটি মার্কেট নির্মাণ করার সত্যতা মিলেছে।
বুধবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর জামতলা বাজার এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২।
চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি কর্ণফুলী উপজেলার জামতলা বাজার এলাকায় দখল করে মার্কেট নির্মাণের অভিযোগ উঠে স্থানীয় ইসলামী ফ্রন্টের এক নেতার বিরুদ্ধে। চট্টগ্রাম প্রতিদিনে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে সেটি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নজরে আসে। পরে এটি নিয়ে তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দেয় দুদক।
স্থানীয়রা জানান, বর্ষা মৌসুমে কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন (কেইপিজেড) ও পাহাড়ের পানি ফিরিঙ্গি খাল হয়ে কর্ণফুলী নদীতে পড়ে। কোরিয়ান ইপিজেড থেকে আসা বিশাল এ খালটি শেষ হয়েছে কর্ণফুলী নদীতে। দীর্ঘদিন ধরে খালটি খনন না করায় দিনের পরপর দখলসহ ভরাট হওয়ার পথে। শাহ মিরপুর ও জুলধা এলাকার প্রায় লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। ১০-১২ কিলোমিটারের এই খাল থেকে বর্ষার আগে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা না হলে পানিবন্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে পুরো এলাকাই।
দুদক সূত্রে জানা যায়, জামতলা বাজার এলাকায় ফিরিঙ্গি খাল দখল করে মার্কেট নির্মাণ করেছেন স্থানীয় এক নেতা।
দুদক কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিন বলেন, ‘একটি অভিযোগের পরিপ্রক্ষিতে কর্ণফুলী জামতলা বাজার এলাকায় দুদকের অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেখানে খাল দখল করে মার্কেট নির্মাণের সত্যতা পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে ওই খালের আশপাশ এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে খাল দখল করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে সংশ্লিষ্টদের মুঠোফোনে কল করে বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) কাগজপত্র নিয়ে আসার জন্য বলা হয়েছে। যাচাইবাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
মুআ/সিপি