চট্টগ্রামে ক্লিনিকের অবহেলায় যমজ বাচ্চার মৃত্যু, ৪ কর্মীকে থানায় জেরা

চট্টগ্রামে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবহেলায় প্রি-ম্যাচিউর দুই যমজ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। জন্মের পর এসব প্রিম্যাচিউর শিশুদের ইনকিউবেটরে রাখার নিয়ম হলেও সে ক্লিনিকে ছিল না এ ব্যবস্থা। এছাড়া বিল কম দেওয়ায় তিন ঘণ্টা আটকে রাখা হয় নবজাতক ও তাদের অভিভাবকদের। এতে করে নবজাতক দুটিকে ঠিক সময়ে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়নি। একটি নবজাতক ক্লিনিকে মারা গেলেও অপরজন মারা যায় বাসায় নেওয়ার পর। এ ঘটনায় ক্লিনিকের চারজন স্টাফকে থানায় এনে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানার ঝর্ণাপাড়া মাতৃসেবা নরমাল ডেলিভারি সেন্টার নামের একটি ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে।

মৃত দুই নবজাতকের বাবা মো. মনির পেশায় একজন টেম্পোচালক। তিনি নগরীর দেওয়ানহাট থেকে অলংকার রুটে টেম্পো চালান। তার স্ত্রী লাভলী বেগম (২২) পেশায় গৃহিণী।

মনির পুলিশেকে জানায়, ক্লিনিক থেকে ১০ হাজার টাকা বিল দিলে আমি ৫ হাজার টাকা নরমাল ডেলিভারির বিল দেই। কিন্তু তারা বাকি ৫ হাজার টাকার জন্য বাচ্চা আটকে রাখে। সেখানে অপেক্ষা করা অবস্থায় আমার এক বাচ্চা মারা যায়। পরে বাড়িতে নিয়ে গেলে অপর বাচ্চাটিও মারা যায়।

ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াৎ শিশুর বাবা মো. মনিরের বরাত দিয়ে চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘৭ মাসের গর্ভবতী মনিরের স্ত্রী লাভলীর মঙ্গলবার দুপুর ২টায় প্রসব ব্যথা উঠলে ঝর্ণপাড়ার ‘মাতৃসেবা নরমাল ডিলিভারি সেন্টার’ নামের ক্লিনিকে তাকে ভর্তি করানো হয়। এর আধ ঘণ্টা পর তার দুটি বাচ্চা জন্ম নেয়। কিন্তু বাচ্চা দুটি প্রিম্যাচিউর হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন ক্লিনিকের ডাক্তার। কিন্তু জন্মের পরই যমজ বাচ্চা একজন মারা যায়। পরে বাসায় নিয়ে গিয়ে গেলে অপরজন মারা যায়।’

ওসি সাখাওয়াৎ বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ও বাচ্চার পরিবারকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। জানতে চাচ্ছি আসলে প্রকৃত ঘটনাটা কী? ক্লিনিক থেকে ডেকে পাঠানো হয়েছে চারজনকে।’

তিনি জানান, ক্লিনিকটিতে আপাতত তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রকৃত ঘটনা জানা গেলে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান ওসি সাখাওয়াৎ।

আইএমই/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!