চট্টগ্রামে কোরআনে হাফেজদের জন্য ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

গোপন থাকবে আবেদনকারীর পরিচয়

একজন কোরআনে হাফেজ রজমান মাসে তারাবীহ নামাজ পড়িয়ে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা সম্মানী পেয়ে থাকেন। এ টাকা দিয়ে কেউ নিজের লেখাপড়ার খরচ বহন করেন, কেউবা পরিবারকে সাহায্য করেন। কিন্তু এবার করোনাভাইরাস প্রকোপের কারণে মসজিদে খতমে তারাবিহ বন্ধ। ফলে হাফেজরা এ সম্মানী থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তাছাড়া মাদ্রাসার অনেক ছাত্র আছেন টিউশনি নির্ভর। এ অর্থ দিয়ে নিজের ও পরিবারের কিছু খরচ বহন করেন। বর্তমানে অধিকাংশ ছাত্রের টিউশনি বন্ধ। ফলে তারাও এখন অনেকটা কর্মহীন হয়ে পড়েন।

তবে চট্টগ্রামের সমাজকল্যাণমূলক সংগঠন নিষ্ঠা ফাউন্ডেশন এমন বঞ্চিত হাফেজ ও টিউশনি করা ছাত্রদের জন্য ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তাদের জন্য গঠন করেছে ‘কোরআনে হাফেজ ও টিউটর সাহায্য তহবিল’। এ তহবিলের মাধ্যমে একজন হাফেজ অথবা টিউশনি করেন এমন ছাত্রকে পাঁচ হাজার টাকা দেওয়া হবে। প্রথম দফায় ৬০ জনকে এবং আরো দুই দফায় ৯০ জনকে মোট ১৫০ জনকে দেওয়া হবে। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার সহায়তায় এ তহবিল গঠন করা হয়েছে।

নিষ্ঠা ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তৌহিদুল আলম বলেন, ‘বর্তমানে হাফেজ ও টিউটররা কষ্টে আছেন। এবার করোনার কারণে তারাবীহ হয়নি। ফলে হাফেজরা সম্মানী থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তাছাড়া অধিকাংশ হাফেজ দরিদ্র পরিবারের সন্তান এবং ছাত্র। তাদের জন্য সরকারের কোনো বরাদ্দ নেই। অন্যদিকে, এখন টিউশনি বন্ধ। অনেক গৃহশিক্ষক হয়তো এ টাকা দিয়ে নিজের লেখাপড়া ও পরিবারকে সহায়তা করেন। তাঁরাও এখন এক প্রকার বেকার হয়ে পড়েছেন। এ সব বিষয় চিন্তা করে আমরা ‘কোরআনে হাফেজ ও টিউটর সাহায্য তহবিল’ গঠন করেছি। একজনকে পাঁচ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।’

তহবিলের পরিচালক প্রকৌশলী আরিফ উদ্দিন বলেন, ‘ইতোমধ্যে অনলাইনের মাধ্যমে ফরম পূরণ করা হয়েছে। জমা হওয়া ফরম যাচাই করে অপেক্ষাকৃত আর্থিক সংকটাপন্ন প্রথম দফায় এমন ৬০ জনকে দেওয়া হচ্ছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় আরো ৯০ জনকে দেওয়া হবে। ঈদুল ফিতরের আগেই সবাইকে এ সহায়তা দেওয়া হবে। সহায়তা প্রদানে কোনো আনুষ্ঠানিকতা থাকবে না, গোপন থাকবে আবেদনকারীর পরিচয়। আবেদনে উল্লেখিত বিকাশ নাম্বারে পৌঁছে যাবে তাঁদের সহায়তা।’

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!