চট্টগ্রামে করোনা শনাক্ত ১৬৭, সংখ্যাটি নড়ছে না পরপর ২ দিন

টানা দ্বিতীয় দিনের মতো চট্টগ্রামে নতুনভাবে করোনা শনাক্ত হলো ১৬৭ জন। এর মধ্যে নগরেই রয়েছে ১০৯ জন, বাকি ৫৮ জন বিভিন্ন উপজেলার। এ নিয়ে চট্টগ্রামে করোনা রোগীর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ালো ১১ হাজার ৯৩১ জন। যাদের মধ্যে নগরে আট হাজার ২৯৯ জন এবং উপজেলায় তিন হাজার ৬৩২ জন। দুদিন পর ডা. আইরিন জামানের মৃত্যু দিয়ে আরও একজনের প্রাণহানি হয় চট্টগ্রামে। তাতে করে মোট প্রাণহানির সংখ্যা এখন ২১৭, যাদের মধ্যে ১৫৪ জন নগরের ও ৬৩ জন উপজেলার বাসিন্দা। অন্যদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন আরও ১৬ জন। ফলে এখন পর্যন্ত একহাজার ৪৩০ জন রোগী করোনাজয় করলেন।

বুধবার (১৩ জুলাই) সকালে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি এসব তথ্য জানান।

তিনি আরও জানান, চট্টগ্রামের সরকারি চারটি ও বেসরকারি দুটি ল্যাব এবং কক্সবাজারের একটি ল্যাবের মধ্যে সব মিলিয়ে ৯৬৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। যা আগেরদিনের চেয়ে ১০৯ টি বেশি। তবে তাতেও বাড়েনি শনাক্তের সংখ্যা। পরীক্ষায় আগেরদিনের মতো ১৬৭ জনের দেহেই করোনাভাইরাস পজিটিভ পাওয়া গেছে। নতুন শনাক্তদের মধ্যে নগরের ১০৯ জন এবং বিভিন্ন উপজেলার ৫৮ জন। একইসাথে চট্টগ্রামে সুস্থ হয়েছেন আরও ১৬ জন এবং গত ২৪ ঘণ্টায় একজন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের প্রধান করোনা পরীক্ষাগার ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি)-তে আগেরদিনের চেয়ে কম নমুনা পরীক্ষা হয়। ৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয় ১৮ জন। এর মধ্যে ১৩ জন নগরের। বাকি ৫ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

তিন দিন পর চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটি (সিভাসু) ল্যাবে করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়। তবে ১৫০ জনের নমুনা পরীক্ষা হলেও সেখানে মেলেনি কোন করোনা রোগী।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় দিনের সর্বাধিক ২০৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২২ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়, যাদের ১৬ জন নগরের ও ৫ জন উপজেলার।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে আগেরদিনের চেয়ে কিছুটা বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। মোট ১৯০ জনের নমুনা পরীক্ষা করিয়ে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হন দিনের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৫ জন। যাদের ২৩ জন নগরের ও ২২ জন বিভিন্ন উপজেলার।

অন্যদিকে, বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ১৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় ২৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়। যাদের ১৯ জন নগরের, বাকি ৮ জন বিভিন্ন উপজেলার।

গত ২৪ ঘণ্টায় শেভরণ ল্যাবে ১৩৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করার তথ্য পাওয়া যায়। তাতে করোনা শনাক্ত হয় দিনের সর্বোচ্চ ৫০ জনের শরীরে। যাদের মধ্যে ৩৮ জন নগরের ও ১২ জন বিভিন্ন উপজেলার।

এদিন, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করিয়ে উপজেলার ৫ জন রোগী শনাক্ত হয়।

উপজেলা পর্যায়ে নতুনভাবে করোনা শনাক্ত ৫৮ জনের মধ্যে আগেরদিন শীর্ষস্থানে থাকা রাউজানের সমানসংখ্যক রোগী ধরা পড়ে ফটিকছড়ি উপজেলায়ও। উভয় উপজেলায় ১১ জন করে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। মিরসরাইয়ে দিনের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এছাড়া চন্দনাইশ ও হাটহাজারীতে ৫ জন করে, বাঁশখালী, বোয়ালখালী ও রাঙ্গুনিয়ায় ৪ জন করে, সীতাকুণ্ডে ২ জন এবং লোহাগাড়া ও আনোয়ারায় ১ জন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!