চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তের সাথে পাল্লা দিয়ে ছুটছে মৃত্যু

সময় যত যাচ্ছে ততই ভয়ঙ্কর হয়ে ‍উঠছে চট্টগ্রামের করোনা। সর্বশেষ ২ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে আরও ৪২১ জনের দেহে মিলেছে করোনার জীবাণু। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে নগরের ২৮৪ জন এবং উপজেলার ১৩৭ জন। একই সময়ে করোনা কেড়ে নিয়েছে আরও ৪ প্রাণ। মৃত্যুবরণকারী ২ জন নগরের এবং ২ জন উপজেলার বাসিন্দা।

এ নিয়ে চট্টগ্রামে মোট আক্রান্ত গিয়ে দাঁড়াল ৫৯ হাজার ৭৩৭ জন। এদের মধ্যে নগরের ৪৬ হাজার ৫৪৭ জন এবং বিভিন্ন উপজেলার ১৩ হাজার ১৯০ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন ৭১০ জন। যাদের মধ্যে ৪৭৯ জন নগরের, বাকি ২৩১ জন উপজেলার বাসিন্দা।

শুক্রবার (২ জুলাই) সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, চট্টগ্রামের ১১টি ল্যাবে ১ হাজার ২৩২টি নমুনা পরীক্ষা হয়।

এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করে ৪৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ২৪ জন নগরের এবং ২০ জন উপজেলার। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) ৩৪৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শনাক্ত ১২৩ জনের মধ্যে নগরের ৬৭ জন এবং উপজেলার ৫৬ জন।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করে নগরের ৫৬ ও উপজেলার ১৩ জন নিয়ে ৬৯ জন এবং চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ১৩৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩৪ জনের করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। যাদের ১৭ জন করে নগর ও উপজেলার বাসিন্দা।

এছাড়া ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাব ১৬০টি নমুনা পরীক্ষা করে ৪৯ জন, শেভরণ ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিতে ১২২টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৪ জন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৪১টি নমুনা পরীক্ষা করে ২১ জন, জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ২৩টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৯ জন, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল সেন্টার ল্যাবে ৬৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৫ জন এবং এপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ৩৯টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৬ জনের শরীরের করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে।

এদিন কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি। এছাড়া এন্টিজেন টেস্টে ২৪টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭ জনের।

উপজেলায় করোনা আক্রান্তদের সর্বোচ্চ শনাক্ত হয় সীতাকুণ্ড উপজেলায়। সেখানে ৩০ জনের দেহে করোনা পাওয়া যায়। এছাড়া, মিরসরাইয়ের ৩০ জন, হাটহাজারীতে ১৬ জন রাউজানে ১৫ জন, ফটিকছড়িতে ১৪ জন, আনোয়ারায় ৮ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ৬ জন, পটিয়া ও সন্দ্বীপে ৩ জন করে, লোহাগাড়া ও সাতকানিয়ায় ২ জন করে এবং বাঁশখালী ও চন্দনাইশে ১ জন করে শনাক্ত পাওয়া যায়।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!